রিয়াজ উদ্দিন, কক্সবাজার:
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলেও এখনো তার প্রভাব পড়েননি পর্যটকের উপর। তারা যেমনটাই ছিল, ঠিক তেমনিভাবে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আনন্দ-উল্লাসে মাতোয়ারার। ঘূর্ণিঝড় “’হামুন” মোকাবেলায় কক্সবাজারে ব্যপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। বিশেষ করে সমুদ্র সৈকতে আসা পর্যটকদের সাগরে না নামতে বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে মাইকিং করা হচ্ছে। ৬ নং বিপদ সংকেতের মাঝে ও পর্যটকরা সাগরে নেমে গোসল আর আনন্দে ব্যস্ত সময় পার করছে। প্রবল বিপদ সংকেতের মাঝেও জেটস্কি গুলো চলানো হচ্ছে এই কক্সবাজার সমুদ্রতে। ফলে যে কোন সময় দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে ।
ঘূর্ণিঝড় “হামুন” এর প্রভাবে গতকাল রাত থেকে কক্সবাজার ও উপকূল এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে। এ ছাড়া আজ মঙ্গলবার ও কাল বুধবার কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলসহ সারা দেশে ভারী বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস। কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে পড়েছে। উপকূলের নৌযান এবং মাছ ধরার নৌকাগুলোকে উপকূলের নিরাপদ স্থানে থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
ঘুর্ণিঝড় “হামুন” মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। উপকুল এলাকায় লোকজনদের নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে ইতোমধ্যে মাইকিং করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন।