রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৮:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ট্যুরিস্ট পুলিশের অভিযানে ছিনতাইকারী সহ আটক-৮ জনপ্রিয়তায় শীর্ষে তালেব আস্থার প্রতীক টেলিফোন বলছেন উপজেলাবাসী উখিয়ার লাল পাহাড়ে র‍‍্যাবের অভিযানে আরসা’র প্রধান সহ আটক-২ ২১ বছর পর মায়ের মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ অনাথ শিশুকে বুঝিয়ে দিলেন ইঞ্জিনিয়ার সহিদুজ্জামান! খুটাখালীতে বালু উত্তোলনকারী নাম বাদ দিয়ে নিরহ লোকের নামে অপপ্রচার ছোট মহেশখালী রাহাতজান পাড়া জামে মসজিদের মাইক চুরি একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু হতে পারে যেদিন খুটাখালীতে দিনে-দুপুরে ২ ব্যবসায়ীকে ডাকাতিঃমালামার লুট ডি.সি. সাহেবের বলীখেলা শুরু শুক্রবার জেলা জজ আদালতের নতুন পিপি পি.এম.খালীর সৈয়দ রেজাউর রহমান

কক্সবাজারে মৎস্যজীবীদের সমস্যা নিয়ে ব্লু প্ল্যানেট ইনিশিয়েটিভ, ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশ ও গ্রীণ কক্সবাজারের উঠান বৈঠক

রিয়াজ উদ্দিন, কক্সবাজার
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৩
  • ১৬৪ বার পঠিত
কক্সবাজার শহরের সুবিধাবঞ্চিত মৎস্যজীবীদের সমস্যা নিয়ে ব্ল প্ল্যানেট ইনিশিয়েটিভ, ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশ ও গ্রীণ কক্সবাজারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

রিয়াজ উদ্দিন, কক্সবাজারঃ

কক্সবাজার শহরের সুবিধাবঞ্চিত মৎস্যজীবীদের সমস্যা নিয়ে ব্লু প্ল্যানেট ইনিশিয়েটিভ, ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশ ও গ্রীণ কক্সবাজারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় কক্সবাজার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এস আই এম আকতার কামালের সভাপতিত্বে  ব্লু প্ল্যানেট ইনিশিয়েটিভ, ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশ ও গ্রীণ কক্সবাজারের  যৌথ উদ্যোগে কক্সবাজার পৌরসভার সমুদ্রতীরবর্তী সংলগ্ন কুতুবদিয়া পাড়া এলাকায় এ বিনিময় সভা অনুষ্টিত হয়।

এসময় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কোস্ট ফাউন্ডেশন, কক্সবাজার এর সহকারি পরিচালক ও কক্সবাজার জেলা প্রেস ক্লাবের উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম, প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার পৌরসভার ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর শাহেনা আক্তার পাখি ও ব্লু প্ল্যানেট ইনিশিয়েটিভ, ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশ  গ্রীণ কক্সবাজারের  কর্মকর্তাবৃন্দ এবং  প্রায় শতাধিক মৎস্যজীবীগণ।

এই উঠান বৈঠকে কোস্ট ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রধান অতিথি জাহাঙ্গীর আলম জানান, কোস্ট ফাউন্ডেশন উপকূলীয় এলাকার মানুষের উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছে। ১৯৯৮সাল থেকে ভোলা জেলার মধ্য দিয়ে আমাদের যাত্রা শুরু থেকে এবং ২০০১ সাল থেকে কক্সবাজার জেলায় কাজ শুরু করি। ইতিমধ্যে কক্সবাজার জেলায় ৯টি উপজেলায় আমাদের কাযক্রম চলমান রয়েছে।  কক্সবাজার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডকে আমার গুরুত্ব দিয়ে আসছি। যারা বাস্তুচ্যুত মানুষ আছে, একবিংশ শতাব্দীর শুরু থেকেই তাদের উন্নয়নের স্বার্থে কোস্ট ফাউন্ডেশন কাজ করে চলছে।  তিনি আরো জানান, গত ২৪শে অক্টোবর হামুনের আঘাতে পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কুতুবদিয়া পাড়া ও সমিতি পাড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত ২৫০ পরিবারের মধ্যে  সহযোগিতা করেছি এবং যারা ক্ষুদ্র ঋণের আওতাভুক্ত তাদেরকে ঋণের সহায়তা প্রদান করেছি। পাশাপাশি হামুনের আঘাতে কুতুবদিয়াতেও ১৫০০জন সহ কক্সবাজার জেলায় মোট ২১৫০জন  মানুষের মাঝে সহায়তা প্রদান করেছি।  তাছাড়া ইতিমধ্যে ১নং ওয়ার্ডে কোস্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ১৩টি টয়লেট করে দিয়েছি এবং শ্রমজীবী নারী বিশেষ করে যারা কাঁচা মাছ শুকানোর কাজে জড়িত, তাদের বাচ্চাদের বিনোদনের স্বার্থে বাচ্চাদের জন্য একটি ঘর করে দিয়েছি যেখানে বাচ্চাদের জন্য খেলনা রয়েছে।  পরবর্তীতে প্যারামেডিকের সুবিধা দিয়ে এই অবহেলিত এলাকার সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের বিষয়ে সেবা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক জানান, হামুনের আঘাতে ১নং ওয়ার্ড কুতুবদিয়া পাড়া ও সমিতি পাড়া এলাকায় পৌরসভার পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করেছি। এরপরও অনেক পরিবার সুবিধাথেকে বঞ্চিত হয়েছে।  এই সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কাছে সহায়তার লক্ষ্যে পৌরমেয়র জেলা প্রশাসক, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষন করেন।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ফজলুল কাদের চৌধুরী জানান, আজকে এই এলাকার জেলে পরিবার ও তাদের স্ত্রীদের নিয়ে একটি উঠান বৈঠক করেছি ,তাদের দুঃখ=দুর্দশার কথা তুলে ধরেছে। তাদের স্বামীরা যখন উত্তাল সমুদ্রতে মাছ ধরতে যায় সবসময় চিন্তিত থাকে আদৌ প্রাণ নিয়ে ঘরে ফিরতে পারবে কিনা। কারণ এখন সমুদ্র প্রায় মৎস্যশূন্য হয়ে পড়েছে। আমাদের দেশে যখন ইলিশ ধরা বন্ধ থাকে , তখন সমুদ্রে বাইরের তথা ভারত, মায়ারমার, থাইল্যান্ডসহ প্রতিবেশি দেশগুলো এদেশে এসে মাছ লুট করে নিয়ে যাওয়ার কথা জেলেরা নিশ্চিত করেন।  এখনো ইলিশ পেতে পুবের বাতাসের অপেক্ষায় স্থানীয় নদীর জেলেরা। তবে প্রতিক্ষা শেষে আষাঢ় মাসের ২০ তারিখ থেকে থেকে সাগরে দেখা মিলছে ইলিশের। সাগরে ইলিশ পড়ায় ডাকাত আর ভারতীয় মাছধরা ট্রলারের উপদ্রব বাড়ায় আতঙ্কে রয়েছেন জেলেরা। দীর্ঘ অপেক্ষার পর মাছ পড়ায় এখন আবার ডাকাতদের মুক্তিপণ দিতে হচ্ছে বলে, ইলিশের চলমান মৌসুম নিয়ে শঙ্কায় ট্রলার মালিকরা।

অনুষ্ঠানের সভাপতি ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এস আই এম আকতার কামাল জানান, সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া হামুনের আঘাত কক্সবাজারের শহরের উপকূলীয় এলাকা ১নং ওয়ার্ড সমিতি পাড়া ও কুতুবিদিয়া পাড়া এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বাংলাদেশে সরকারের পক্ষ থেকে ঐ রাতে তাৎক্ষনিক সহায়তা পেয়েছি।  তাছাড়া বাংলাদেশ সরকারের ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী, জেলা প্রশাসক, পৌরমেয়র এখানে এসে খোঁজখবর নিয়েছে ও সহায়তা প্রদান করেছেন। কিন্তু এতবড় এলাকায় যেহেতু ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার সবটুকু পূরণ কর সম্ভব নয়, তবে তারা আশ্বস্ত করেছেন কোন এনজিও’র মাধ্যমে ক্ষতির অন্তত কিছু অংশ হলেও পূরণ করা জন্য।

এসময় নারী জেলে শ্রমিকদের পক্ষ থেকে উম্মে তসলিমা ও সাফিয়া বেগম তাদের অভিমত ব্যক্ত করেন। এতে তারা উল্লেখ করেন. তাদের স্বামীরা মাছ ধরতে সাগরে যায়, কিন্তু রাতে বাড়ি ফিরতে পারবে কিনা সেই চিন্তায় ছেলেমেয়ে নিয়ে নারীরা সারারাত অপেক্ষায় থাকে।  এতে প্রশাসনের কাছে। তারা তাদের স্বামীর নিরাপত্তা চান।  তাছাড়া সমুদ্রে যখন মাছ ধরা বন্ধ থাকে ,তখন বাইরের ট্রলার এসে মাছ ধরে নিয়ে যায়। এতে প্রশাসনের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা।  তারা আরো জানান, যখন বর্ষার মৌসুম আসে তারা মাছ শুকাতে পারে না। তবে যদি কোন উন্নত প্রযুক্তি থাকে, সেই প্রযুক্তি প্রদানের জন্য সরকারের সদয় দৃষ্টি আকর্ষন করেন তারা।

 

এসময় সাগরে দেশীয় প্রজাতির মাছ হ্রাসের কারণ ও উৎপাদন বৃদ্ধিকরণে করণীয় বিষয়গুলো নিয়ে বক্তাগণ আলোকপাত করেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs