রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১১:০১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ট্যুরিস্ট পুলিশের অভিযানে ছিনতাইকারী সহ আটক-৮ জনপ্রিয়তায় শীর্ষে তালেব আস্থার প্রতীক টেলিফোন বলছেন উপজেলাবাসী উখিয়ার লাল পাহাড়ে র‍‍্যাবের অভিযানে আরসা’র প্রধান সহ আটক-২ ২১ বছর পর মায়ের মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ অনাথ শিশুকে বুঝিয়ে দিলেন ইঞ্জিনিয়ার সহিদুজ্জামান! খুটাখালীতে বালু উত্তোলনকারী নাম বাদ দিয়ে নিরহ লোকের নামে অপপ্রচার ছোট মহেশখালী রাহাতজান পাড়া জামে মসজিদের মাইক চুরি একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু হতে পারে যেদিন খুটাখালীতে দিনে-দুপুরে ২ ব্যবসায়ীকে ডাকাতিঃমালামার লুট ডি.সি. সাহেবের বলীখেলা শুরু শুক্রবার জেলা জজ আদালতের নতুন পিপি পি.এম.খালীর সৈয়দ রেজাউর রহমান

রেলপথের উদ্বোধন শেষে মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প ও গভীর সমুদ্রবন্দরসহ ১৯টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী

রিয়াজ উদ্দিন, কক্সবাজার
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৩
  • ১২৭ বার পঠিত

রিয়াজ উদ্দিন, কক্সবাজার:

শনিবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ১টা ২৩ মিনিটে কক্সবাজারের আইকনিক রেলওয়ে স্টেশনে নিজ হাতে ট্রেনের টিকিট কাটেন প্রধানমন্ত্রী। পরবর্তীতে চট্টগ্রামের দোহাজারী-কক্সবাজারের বহুল প্রতীক্ষিত রেল চলাচল উদ্বোধনের পর ট্রেনে চড়ে কক্সবাজার স্টেশন থেকে রামু স্টেশনে গেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নবনির্মিত ১০২ কিলোমিটার রেললাইন এবং এই রুটে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে তিনি দৃষ্টিনন্দন কক্সবাজার রেল স্টেশন উদ্বোধন করেন।
ট্রেনে উঠার পর সবুজ পতাকা নেড়ে এবং হুইসেল বাজিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই রুটে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করেন তিনি। দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে ওই ট্রেনে ওঠেন সরকারপ্রধান। ১টা ২৮ মিনিটে ট্রেনটি প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে কক্সবাজার রেল স্টেশন থেকে রামু রেল স্টেশনের উদ্দেশ্যে স্টেশন ত্যাগ করেন। দুপুর ১টা ৫৩ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী রামু স্টেশনে পৌঁছে।
ট্রেন উদ্বোধন ও যাত্রার সময় প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, কৃষক, শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। যাত্রার সময় প্রধানমন্ত্রী ট্রেনটির বিভিন্ন বগি ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং সফরসঙ্গীদের খোঁজখবর নেন। ট্রেনে বিভিন্ন স্তরের যাত্রী প্রধানমন্ত্রীর সাথে ট্রেন সফর করেন।
সফর শেষে রামু স্টেশন থেকে প্রধানমন্ত্রী রামু সেনানিবাসে গিয়ে দুপুর ভোজনের মধ্য দিয়ে সেখান থেকে তিনি পৌছেঁ মহেশখালী মাতারবাড়ি।
প্রধানমন্ত্রী সেখানে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর চ্যানেলের উদ্বোধন করবেন। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বহুল প্রতীক্ষিত দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দরের প্রথম টার্মিনালের নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
পরে বিকেলে মাতারবাড়ি তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের টাউনশিপ মাঠে মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেন। এই জনসভায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারের আইকনিক রেলস্টেশন থেকে ১০২ কিলোমিটার দীর্ঘ সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ রেলপথের উদ্বোধন শেষে মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প ও গভীর সমুদ্রবন্দরসহ ১৯টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

 

এ সব প্রকল্পের মধ্যে আছে- কক্সবাজার বিমান বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বাঁকখালী নদীর উপর সেতু ও অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ, ২১২ একর ভূমি ভরাট, ৪ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার স্লোপ প্রটেকশন বাঁধ নির্মাণ, সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ডিজাইন ও স্থাপনাকরণ প্রকল্প এবং গোরকঘাটা-শাপলাপুর সড়ক প্রস্তুতকরণ। টেকনাফ উপজেলার মাল্টিপারপাস ডিজাস্টার রিসিলেন্ট শেল্টার কাম আইসোলেশন সেন্টার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্পকে কেন্দ্র করে তৈরি হচ্ছে দেশের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর। এই প্রকল্পের প্রথম ইউনিট উদ্বোধন হবে আজ।
এর আগে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদন শুরু হয় চলতি বছরের ২৯ জুলাই। প্রথম দিনে দেড় শ মেগাওয়াট পর্যন্ত উৎপাদন হয়। পাওয়ার প্ল্যান্টের সম্মিলিত উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট এবং ২০২৪ সালের এপ্রিল থেকে প্ল্যান্টটি পুরো মাত্রায় উৎপাদনে যাওয়ার কথা রয়েছে।
ওই কর্মসূচিতে যোগদানের পর প্রধানমন্ত্রী আকাশপথে কক্সবাজার থেকে ঢাকায় ফিরে যান।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs