শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৫৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
চকরিয়ায় সাংবাদিক শাহ আলমের উপর হামলা ও রাইচমিল লুটের ঘটনায় দুই মামলা আসামি হলেই গ্রেপ্তার নয়, মানতে হবে নতুন নির্দেশনা কক্সবাজারের সংকট-সম্ভাবনার কথা বলতে “আওয়াজ”র আত্মপ্রকাশ জুলাই ফাউন্ডেশনের অর্থ আত্মসাত, নাগরিক কমিটির নেত্রী বহিষ্কার। প্রবেশপত্র না পেয়ে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি উখিয়ার ১৩ শিক্ষার্থী, প্রধান শিক্ষক আটক ভারুয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগ নেতাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করার পাঁয়তারা কক্সবাজার সমুদ্রে যৌথ অভিযানে ৫০ হাজার ইয়াবাসহ সাত রোহিঙ্গা আটক পূর্বাচল প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি: হাসিনা ও পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ট্রাম্পের শুল্ক থেকে তিন মাস রেহাই পাবে বাংলাদেশসহ অনেকে, চীনের কাঁধে আরো বোঝা খুটাখালীতে অপহৃত যুবকের মোটরসাইকেল উদ্ধার

সাংবাদিকতায় দায়বোধের সীমানা এবং উইদাউট বর্ডার

সাঈদুর রহমান রিমন
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪
  • ১১১ বার পঠিত

.

আমরা সবাই জানি, নিউজ হলো চলমান কৌতুহল উদ্দীপক ঘটনা, যা বেশিরভাগ মানুষ জানতে আগ্রহী। সেই নিউজে জনগোষ্ঠী, সমাজ ও রাষ্ট্রের স্বার্থ সংশ্লিষ্টতা থাকা বাঞ্ছনীয়। তবে পরের ধাপেই প্রশ্ন উঠে- আমি কি নিরপেক্ষ হবো, নাকি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ লিখবো? নাকি জনগণ ও রাষ্ট্রের পক্ষে থাকবো? নাকি কোনো রাষ্ট্রের সীমারেখার মাঝে আমার সাংবাদিকতার দায়বদ্ধতা আটকে থাকবে না? নাকি আমার পেশাগত দায়িত্বশীলতা থাকবে মানুষের জন্য, দায়বোধের সীমানাও হবে বিশ্ব জুড়ে বিস্তৃত- উইদাউট বর্ডার স্টাইলে?

নিকট অতীতের একটি উদাহরণ উল্লেখ করা জরুরি মনে করছি। বাংলাদেশের নিরীহ তরুণী ফেলানী যখন দিনাজপুরের সীমান্তে ভারতীয় কাটাতারের পাশে ছিলেন- ঠিক তখনই বিএসএফ এর টহলরত সদস্যরা তার উপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে। ফলে গুলিতে নিহত ফেলানীর মৃতদেহটি দীর্ঘসময় ধরে কাটাতারের উপরেই ঝুলতে থাকে। এরচেয়েও করুণ দৃশ্যপটের সূচণা ঘটে যখন বিএসএফ জওয়ানরা ওই তরুণির মৃতদেহ বাশের লাঠিতে শেয়াল কুকুরের মতো বেধে নিজেদের ক্যাম্পের দিকে নিয়ে যায়। সেই নির্মমতার পুরোটাই ভিডিও রেকর্ডিং করতে সক্ষম হন ভারতেরই মিডিয়া-এনডিটিভি। তারা অবিকল সে কাহিনী ফলাওভাবে প্রচার করায় মুহূর্তেই তা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। ব্যাপকভাবে সমৃদ্ধ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতেও এনডিটিভি‘র সে সংবাদ দফায় দফায় প্রকাশ হতে থাকলে গোটা ভারতই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে। সীমাহীন সে অমানবিকতায় বিশ্বজুড়েই নিন্দা-প্রতিবাদের ঝড় বইতে থাকে।

এই উদাহরণের মাধ্যমে আমি এনডিটিভি’র উইদাউট বর্ডার স্টাইলের সাংবাদিকতার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এর বিপরীতে বলতে দ্বিধা নেই, আমি দেশপ্রেমে মুগ্ধ হয়ে বরাবরই উইদ-ইন বর্ডারের সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী ছিলাম। যে কারণে ১৯৯৮ সালেও মহুরীরচর সীমান্তে বিডিআর-বিএসএফ এর বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় লিখেছি: ‘রাতভর বিএসএফ এর উস্কানিমূলক শত শত রাউন্ড গুলিবর্ষণের প্রেক্ষিতে বিডিআর আত্মরক্ষার্থে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়তে বাধ্য হয়।’ এবার এনডিটিভি’র সাংবাদিকতার সঙ্গে আমার এ সাংবাদিকতা একটু মিলিয়ে দেখুন তো?
……
লেখক:সাঈদুর রহমান রিমন, সিনিয়র সাংবাদিক।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs