শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:২৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কক্সবাজারের সংকট-সম্ভাবনার কথা বলতে “আওয়াজ”র আত্মপ্রকাশ জুলাই ফাউন্ডেশনের অর্থ আত্মসাত, নাগরিক কমিটির নেত্রী বহিষ্কার। প্রবেশপত্র না পেয়ে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি উখিয়ার ১৩ শিক্ষার্থী, প্রধান শিক্ষক আটক ভারুয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগ নেতাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করার পাঁয়তারা কক্সবাজার সমুদ্রে যৌথ অভিযানে ৫০ হাজার ইয়াবাসহ সাত রোহিঙ্গা আটক পূর্বাচল প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি: হাসিনা ও পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ট্রাম্পের শুল্ক থেকে তিন মাস রেহাই পাবে বাংলাদেশসহ অনেকে, চীনের কাঁধে আরো বোঝা খুটাখালীতে অপহৃত যুবকের মোটরসাইকেল উদ্ধার বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে হিজড়া গোষ্ঠীর উৎপাত, ট্যুরিস্ট পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান বন্দি বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ফেরানোর চেষ্টা করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

শহরে অবৈধ দখল উচ্ছেদে মাঠে কক্সবাজার পৌর প্রশাসন

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৩
  • ৩৫১ বার পঠিত

হায়দার নেজাম:

কক্সবাজার শহরের অবৈধ দখল উচ্ছেদে মাঠে নেমেছে কক্সবাজার পৌর প্রশাসন। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে এই অভিযান শুরু করা হয়।

অভিযান প্রথম দিনে মাত্র ২ ঘন্টায় উচ্ছেদ করা হয়েছে শতাধিক স্থাপনা। একই সঙ্গে রাস্তায় অবৈধ পার্কিং করা অর্ধ-শত মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়েছে।

৫ অক্টোবর সাড়ে ১১ টার দিকে কক্সবাজার আদালত প্রাঙ্গনের কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ সড়ক হয়ে এই অভিযান শুরু করেন কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মো. মাহাবুবুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে পৌর কর্তৃপক্ষ। অভিযানটি হাসপাতালের মোড় হয়ে ভোলাবাবুর পেট্টোলপাম্প, পুরাতন পান বাজার সড়ক, কৃষি অফিস সড়ক হয়ে প্রধান সড়কের ফজল মাকের্ট এলাকা গিয়ে শেষ করা হয় দেড় টার দিকে।

এই দুই ঘন্টার অভিযানে ফুটপাত দখল করে স্থাপনা করে দোকান পরিচালনা করা শতাধিক স্থাপনা সরিয়ে নেয়া হয়। একই সঙ্গে হাসপাতাল মোড়ের বেসরকারি ক্লিনিক সংলগ্ন সড়কে অবৈধভাবে পাকিং করা অর্ধ শত মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়।

অভিযানে কক্সবাজার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরওয়ার সালাম, প্যানেল মেয়র-১ সালাউদ্দিন সেতু, কাউন্সিলর মিজানুর রহমান ও এহেসান উল্লাহ সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মেয়র মো. মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী বলেন, ২ দিন ধরে কক্সবাজার শহরের মাইকিং করে সকল প্রকার অবৈধ দখলদারদের স্বেচ্ছায় দখল ছেড়ে দেয়ার আহবান-অনুরোধ জানিয়ে প্রচারণা চালানো হয়েছিল। তারপর সরিয়ে না নেয়ায় এই অভিযান শুরু হয়। অভিযানের প্রথম দিন অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা হাসপাতাল এলাকাকে প্রধান্য দেয়া হয়েছে। এখানে প্রতিদিন অসংখ্যা রোগী আসা-যাওয়া। চিকিৎসা নিতে আসা মূমুর্ষ রোগীও আসেন। এই সড়কটির উভয় পাশের ফুটপাত দখল করে দোকান, গাড়ি পাকিং, এ্যাম্বুলেন্স পাকিং এর কারণে সাধারণ মানুষও চলাচল করতে পারে না। এসব সরিয়ে নেয়া হল।

এই অভিযান অব্যাহত রাখা হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, পৌরসভার সকল নালা-নর্দমা, জমিও দখল মুক্ত করা হবে। একই সঙ্গে উচ্ছেদ করার পর নতুন করে যাতে দখল না হয় তার জন্য ৩ টি মনিটরিং কমিটি করা হয়েছে। যখন দখল তখন উচ্ছেদ চালানো হবে। প্রয়োজনের সন্ধ্যা ও রাতে চলবে এ অভিযান। বৃহস্পতিবার প্রথম দিনের প্রথম দফার অভিযান শেষে দ্বিতীয় সন্ধ্যার পর আবারও অভিযান করা হবে জানান তিনি।

কক্সবাজার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরওয়ার সালাম জানান, অভিযানে জব্দ করা মোটর সাইকেল সংশ্লিষ্ট আইনে জরিমানা প্রদান করা হবে। একই সঙ্গে পুণ:রায় একই অপরাধ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে, দীর্ঘ সময় পরে হলেও পৌর প্রশাসনের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে পৌরবাসি।

অভিযান চলাকালিন সময় হাসপাতাল সড়কের গফুর উদ্দিন নামের এক ব্যবসায়ী জানান, এটি রোগীদের আসা যাওয়ার সড়ক। এখানে সকাল সন্ধ্যায় ফুটপাত জুড়ে ভ্যান সহ নানা দোকান বসানো হয়। একই সঙ্গে মোটর সাইকেলের অঘোষিত পাকিং এ পরিণত হয়। যাতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন মানুষ। এ উচ্ছেদ হওয়ার পর যেন পুনরায় দখল নিতে না পারে তারজন্য ধারাবাহিক অভিযান অব্যাহত রাখার দাবি জানান তিনি।

হেলাল উদ্দিন নামের এক যুবক জানান, এ অভিযান শহর জুড়ে চালানো প্রয়োজন। প্রধান সড়ক সহ সকল ফুটপাত হকারের দখলে। এতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs