শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
চকরিয়ায় সাংবাদিক শাহ আলমের উপর হামলা ও রাইচমিল লুটের ঘটনায় দুই মামলা আসামি হলেই গ্রেপ্তার নয়, মানতে হবে নতুন নির্দেশনা কক্সবাজারের সংকট-সম্ভাবনার কথা বলতে “আওয়াজ”র আত্মপ্রকাশ জুলাই ফাউন্ডেশনের অর্থ আত্মসাত, নাগরিক কমিটির নেত্রী বহিষ্কার। প্রবেশপত্র না পেয়ে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি উখিয়ার ১৩ শিক্ষার্থী, প্রধান শিক্ষক আটক ভারুয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগ নেতাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করার পাঁয়তারা কক্সবাজার সমুদ্রে যৌথ অভিযানে ৫০ হাজার ইয়াবাসহ সাত রোহিঙ্গা আটক পূর্বাচল প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি: হাসিনা ও পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ট্রাম্পের শুল্ক থেকে তিন মাস রেহাই পাবে বাংলাদেশসহ অনেকে, চীনের কাঁধে আরো বোঝা খুটাখালীতে অপহৃত যুবকের মোটরসাইকেল উদ্ধার

৪ কোটি টাকার ওয়াসব্লক নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতির ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৩
  • ৩৫৯ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কক্সবাজার সদর উপজেলার ২৭ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের পয়নিস্কাশন সুবিধার্থে নির্মিত ওয়াসব্লক নির্মাণ কাজে ব্যপক অনিয়ম দূর্নীতির ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ইতি মধ্যে তদন্ত টিম কক্সবাজারে এসে বিভিন্ন ওয়াসব্লকে গিয়ে তাদের কাজ শুরু করেছে বলে জানা গেছে। এদিকে শুধু কক্সবাজার সদর উপজেলার বাইরেও নির্মাণাধীন ওয়াসব্লকে ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতি হচ্ছে বলে জানা গেছে। এদিকে বিভিন্ন স্থানীয় এবং জাতীয় পত্রিকায় কক্সবাজার জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতায় নির্মাণধীন ওয়াসব্লক নির্মাণকাজে পুকুর চুরির ঘটনা ধাপা দিতে ব্যাপক তোড়জোড় শুরু করেছে ঠিকাদার সহ পাবলিক হেলথের দূনীতিবাজ কর্মচারীরা।

জানা গেছে কক্সবাজার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসের আওতায় কক্সবাজার সদর উপজেলায় ২৭ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ রামু,উখিয়া উপজেলাও বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের পয়নিস্কাশনের সুবিধার জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে ওয়াসব্লক। প্রতিটি ওয়াসব্লক নির্মাণ কাজের জন্য ১৫ লাখ টাকা ব্যায় ধরা হলেও এসব ওয়াসব্লক নির্মাণ করা হচ্ছে খুবই নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রি দিয়ে। এসব ওয়াসব্লক নির্মাণ কাজের সুপারভাইজার হিসাবে দায়িত্বপালনকারী ফরিদ হাসান এবং উপজেলা প্রকৌশলী সহ বিভিন্ন কর্মকর্তারা এসব অনিয়ম দূর্নীতির সাথে জড়িত। তার মধ্যে ফরিদ হাসান সরকারি দায়িত্ব পালন না করে উল্টো ঠিকাদারের লোকজনের সাথে মিলে নিজে ঠিকাদারী শুরু করেছে। যা ইতি মধ্যে কক্সবাজারের স্থানীয় এবং জাতীয় পত্রিকায় তথ্যবহুল সংবাদ সহ প্রচার করা হয়েছে। উক্ত সংবাদের প্রেক্ষিতে নড়েচড়ে বসেছে ওয়াসব্লক নির্মাণকারী প্রতিষ্টান কক্সবাজার জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর সহ ঢাকার জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এ ব্যপারে কক্সবাজার সদর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম বলেন,প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওয়াসব্লক নির্মাণ কাজের অনিয়ম নিয়ে সম্প্রতী বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। তার প্রেক্ষিতে আমি নিজে গিয়ে অভিযুক্ত জায়গা সব কিছু তদারকি করে সেখানে সত্যিকার অর্থে কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি পেয়েছি। সেখানে ইতি মধ্যে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং শতভাগ কাজ যাতে সিডিউল অনুযায়ী হয় সে ব্যবস্থা নিয়েছি। তবে ঢাকা থেকে এবং একটি তদন্তটিম এসে সেগুলো তদন্ত করছে সেটা আমি জেনেছি।
এ ব্যপারে কক্সবাজার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসের সহকারী প্রকৌশলী আবুল মনজুর বলেন,ওয়াসব্লক নির্মাণ কাজে বেশ কিছু অনিয়ম হচ্ছে এমন সংবাদের প্রেক্ষিতে আমরাও তদন্ত কমিটি গঠন করেছি এবং ঢাকা থেকেও তদন্ত টিম এসেছে উনারা কাজ করছে। এখানে কোন ধরনের অনিয়ম প্রমানিত হলে অবশ্যই বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে কক্সবাজার সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং রামুর কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এখনো ওয়াসব্লক নির্মাণ কাজ চলছে তবে কাজের জন্য আনা নির্মাণ সামগ্রি খুব নিম্নমানের ঠিকাদার আমাদের নানান ভাবে ম্যানেজ করতে চাইছে বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রভাব ফেলে নিম্নমানের সামগ্রি দিয়ে কাজ করতে চাপ দিচ্ছে সেখানে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসের লোকজনও জড়িত আছে। এদিকে এসব অনিয়ম দূনীতির বিষয়ে ইতি মধ্যে দূর্নীতি দমন কমিশনের অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে জানান একজন প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs