জিয়াউল হক জিয়া,কক্সবাজারঃ
দেশীয় উৎপাদিত লবণকে সাদা সোনা বলা হয়।সেই দেশীয় উৎপাদিত লবণের দাম কমিয়ে,সিন্ডিকেট করে ইন্ডাস্ট্রিয়াল সল্ট বা বিদেশী লবণ আমদানির দায়ে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নস্হ মহাসড়কে প্রান্তিক চাষী আর স্হানীয় সংগ্রামী ব্যবসায়ীরা মিলে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত দীর্ঘ সময় ধরে সড়কে অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেছেন।
কর্মসূচী পালনকারীরা সড়কে দেশীয় উৎপাদিত লবণ ঢেলে লবণের ন্যায্য মূল্য আদায়ের লক্ষ্য অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেন।এতে মহাসড়কের দুইপাশে যাত্রীবাহি আর মালবাহি গাড়ীর দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।পরে হাইওয়ে ও থানা পুলিশের বিশেষ অনুরোধে সড়ক থেকে লবণ সরিয়ে নেন বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভ কর্মসূচী পালনকারীরা গলাফাঁটা কন্ঠে বলে-ইন্ডাস্ট্রিয়াল সল্ট নামের বিদেশী লবণ আমদানি বন্ধ করে,দেশীয় উৎপাদিত লবণের ন্যায্য দাম বাড়িয়ে দিতে হবে।অন্যথায় আগামীতে পুরো জেলার মহাসড়কে অবরোধের অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করা হবে বলে কঠিন হুশিয়ারি দেন চাষী আর স্হানীয় ব্যবসায়ীরা।পানির দামে লবণ বিক্রি করে,কোন চাষী নিজেদের বিনিয়োগকৃত টাকার অর্ধেক টাকাও উপার্জন করতে পারবেনা।
তারা শ্লোগানে ধরে বলেন-সারাদেশের বিদেশী লবণ আমদানির সিন্ডিকেট জ্বালিয়ে দাও,পুড়িয়ে দাও,অবৈধ সিন্ডিকেটধারি ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে,দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বিক্ষোভ পালনকারীরা।
সারাদেশে সকল নিত্যপণ্যের দাম আকাশ ছোঁয়া হলেও,পানির দামে বিক্রিত হচ্ছে শুধু লবণ।তাই চকরিয়া,পেকুয়া,ঈদগাঁও,রামু,কক্সবাজার,উখিয়া,টেকনাফ,মহেশখালী,কুতুবদিয়া ও বাশঁখালী উপজেলার প্রায় লক্ষাধিক চাষী আর স্হানীয় ব্যবসায়ীরা সড়ক অবরোধ অবস্হান ও বিক্ষোভ কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন।কারণ উপজেলা গুলোতে প্রায় ৬১হাজার একর লবণক্ষেত রয়েছে।বর্তমানে প্রতিকেজি লবণের দাম পড়ে মাত্র ৫টাকা ৭৫পয়সা।