
মঈন উদ্দিন মুরাদ:
রেল নামক এই যানবাহনটি এক নজরে দেখার জন্য পুরো চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রেল লাইনের দুই ধারে লোকে-লোকারণ্যের সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিনের চট্রগ্রামবাসীর এই স্বপ্নের রেল চলাচল দেখে খুশিতে আত্মহারা হয়েছে অনেকেই,আবার অনেকেই জড়ো হয়েছে স্বপ্নের রেল লাইন বাস্তবে রূপান্তরের স্বপ্নদ্রষ্টা বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র অনবদ্য উন্নয়ন কর্মকান্ডকে স্বাগতম জানাতে।গতকাল রবিবার সকাল ৯ টা থেকে চট্টগ্রাম থেকে রওয়ানা হওয়া ৮ বগির বিশেষ এই রেলটি যাত্রা পথে বিভিন্ন স্টেশনে যাত্রা বিরতি করে সর্বশেষ কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে পৌঁছে সন্ধ্যা ৬ টা ১৯ মিনিটে।কক্সবাজারে ট্রেন চলাচল দেখতে আসা কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ নেতা, জসিম উদ্দিন বলেন,কক্সবাজারবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল কক্সবাজারের মানুষ রেলে করে ঢাকা শহরে আসা-যাওয়া করবে,দীর্ঘদিনের সেই স্বপ্ন একটু দেরিতে হলেও বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র সুদক্ষ নেতৃত্বের কারনে বর্তমানে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ সরকার উন্নয়নের এক রোল মডেল।বাংলাদেশের এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে কক্সবাজারবাসী বদ্বপরিকর এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজারের ০৪ টি আসনে নৌকাকে বিজয়ী করতে প্রস্তুত রয়েছে।
এদিকে,রেললাইন প্রকল্পের এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দোহাজারী হয়ে কক্সবাজার রেললাইনে প্রকল্প ২০১৮ সালে ১৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প অনুমোদন পায়, ভূমি অধিগ্রহণ ও কালুরঘাট সেতুর জন্য প্রকল্পের মোট মেয়াদ থেকে আরও এক বছর অতিরিক্ত প্রয়োজন পড়েছিল,তবে খানিকটা অতিরিক্ত সময় ব্যয় হলেও রেল চলাচল প্রথমবারের মতো দৃশ্যমান হয়েছে। রেল চলাচলের ফলে কক্সবাজার থেকে চট্রগ্রাম ও ঢাকায় যেতে যে অতিরিক্ত সময় ব্যয় হতো, তা অর্ধেকে নেমে আসবে।এখন থেকে কক্সবাজার থেকে চট্রগ্রামে যেতে ২:৩০ মিনিট আর ঢাকা যেতে প্রয়োজন হবে ৭ ঘন্টা।তিনি আরও বলেন, এই প্রকল্পে মোট ১০০ কিলোমিটার সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ রেলপথ, ৩৯টি মেজর ব্রিজ এবং ২৪২টি কালভার্ট রয়েছে।
এ জাতীয় আরো খবর..