জিয়াউল হক জিয়াঃ
কক্সবাজারের চকরিয়ায় সাংবাদিক আব্দুল হামিদের মেয়ে হাফসা বেগম (২০) কে ছুরিকাঘাতে পরপরই মেয়েকে বাঁচাতে গেলে শাশুড়ীকেও ছুরিকাঘাত করেছিল নিহতের ঘাতক স্বামী মেহেদী হাসান (২২)।ঘটনাস্হলে হাফসা মারা গেলেও এসময় গুরুতর আহত হয়েছিল হাফসার মা ঘাতকের শ্বাশুড়ি।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) ভোর ৫টা ৫মিনিটের সময় চট্টগ্রাম পার্কভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় ১৪দিনের মাথায় মারা যান সাংবাদিক হামিদের স্ত্রী অর্থাৎ নিহত হাফসার মাও। খুনি-মেহেদী হাসান (২২) উপজেলার
কাসেমের ছেলে।
ভূক্তভোগী সাংবাদিক আব্দুল হামিদ জানান-গত ১৭ জানুয়ারী (শুক্রবার) জুমার নামাজের সময় চকরিয়া পৌরসভার দিগরপানখালী এলাকার সাংবাদিক আব্দুল হামিদের বাড়ীতে বেড়াতে এসে স্ত্রী হাফসাকে খুন করে ঘাতক স্বামী মেহেদী হাসান (২২)।এসময় মেয়ে হাফসাকে বাঁচাতে গেলে আমার স্ত্রী অর্থাৎ হাফসার মাকেও ছুরিকাঘাত করে ঘাতক মেয়ের জামাতা।মেয়ের মৃত্যুর ১৪দিনের মাথায় ৩১ জানুয়ারী (শুক্রবার) পার্কভিউ হাসপাতালে হাফসার মাও মারা যান। আমি এখন সর্বহারা,নিঃস্ব,এতিম হয়ে গেলাম। সুতরাং ঘাতক মেহেদী সহ তাকে পরামর্শদাতা আর অর্থদাতা তার বাবা,মাকে আসামী করে মামলা করি। ১৭ জানুয়ারী ঘটনার রাতে লামা থানার পুলিশ মেহেদীকে আটক করে।কিন্তু চকরিয়ার পুলিশ এপর্যন্ত আর কাউকে আটক করেনি।আমি আমার মেয়ের খুনি আর আমার স্ত্রীর খুনি মেহেদী সহ এজাহার উল্লেখ্য আসামীর ফাঁসি চাই বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছে সাংবাদিক হামিদ।
খুনের ঘটনার বিষয়ে চকরিয়া উপজেলা প্রেসক্লাবের পক্ষে সভাপতি ইবনে আমিন,সাধারণ সম্পাদক ছোটন কান্তি নাথ বলেন-আব্দুল হামিদ আমাদের ক্লাবের দপ্তর সম্পাদক হিসাবে কর্মরত আছেন।পরিকল্পিত ভাবে আমাদের সহকর্মীর মেয়ে হাফসাকে ছুরিকাঘাতে খুন করা,তার স্ত্রীকে খুন করা ঘাতক জামাতা মেহেদী হাসান সহ তাকে পরামর্শদাতা,অর্থদাতা মামলার সকল আসামীর ফাঁসির মত কঠিন শাস্তি কামনা করছি।এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকল প্রশাসনের আন্তরিক সহযোগিতা চাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তারা।