শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কক্সবাজারের সংকট-সম্ভাবনার কথা বলতে “আওয়াজ”র আত্মপ্রকাশ জুলাই ফাউন্ডেশনের অর্থ আত্মসাত, নাগরিক কমিটির নেত্রী বহিষ্কার। প্রবেশপত্র না পেয়ে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি উখিয়ার ১৩ শিক্ষার্থী, প্রধান শিক্ষক আটক ভারুয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগ নেতাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করার পাঁয়তারা কক্সবাজার সমুদ্রে যৌথ অভিযানে ৫০ হাজার ইয়াবাসহ সাত রোহিঙ্গা আটক পূর্বাচল প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি: হাসিনা ও পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ট্রাম্পের শুল্ক থেকে তিন মাস রেহাই পাবে বাংলাদেশসহ অনেকে, চীনের কাঁধে আরো বোঝা খুটাখালীতে অপহৃত যুবকের মোটরসাইকেল উদ্ধার বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে হিজড়া গোষ্ঠীর উৎপাত, ট্যুরিস্ট পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান বন্দি বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ফেরানোর চেষ্টা করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সরকার কোনো বিদেশি চ্যানেল বন্ধ করেনি : তথ্যমন্ত্রী

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২ অক্টোবর, ২০২১
  • ৬২০ বার পঠিত

রূপালী ডেস্কঃ

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকার কোনো বিদেশি চ্যানেল বন্ধ করেনি। বিদেশি চ্যানেলগুলোর যারা বাংলাদেশি এজেন্ট বা অপারেটর তারাই বন্ধ করে রেখেছে। যেহেতু তাদেরকে বিজ্ঞাপন ছাড়া ফিড দিচ্ছে না, সেজন্য তারা সম্প্রচার বন্ধ রেখেছে। তিনি বলেন, আইন মানা বিদেশি চ্যানেলগুলোর যেমন দায়িত্ব, তেমনি যারা বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচার করে তাদেরও আইন মানা দায়িত্ব। শনিবার (২ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রামের শিল্পকলা একাডেমিতে শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে প্রবাসী কমিউনিটি সংযুক্ত আরব আমিরাত শাখা আয়োজিত আলোচনা সভায় যোগ দেন মন্ত্রী। আলোচনা সভা শেষে দেশে বিদেশি চ্যানেলের সম্প্রচার নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা আশা করব বিদেশি চ্যানেলগুলো খুব সহসা বিজ্ঞাপন ছাড়া বাংলাদেশে ফিড পাঠাবে। তাহলে তো এখানে সম্প্রচারের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। বিজ্ঞাপনবিহীন যেসব চ্যানেল আছে সেগুলো সম্প্রচারের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। এজেন্ট ও ক্যাবল অপারেটরদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা বলছে তাদের কিছু কারিগরি ত্রুটি আছে। সেজন্য সম্প্রচার করতে পারছে না। এটা সহসাই নিরসন হয়ে যাবে বলে তারা তথ্য মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিদেশি চ্যানেলের মধ্যে যেগুলো বিজ্ঞাপনমুক্তভাবে দেশে সম্প্রচার হয় সেগুলো কেউ কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে বন্ধ করে থাকতে পারে। জনগণকে বিক্ষুব্ধ করার জন্য সেসব বিদেশি চ্যানেল বন্ধ করে রাখতে পারে ইচ্ছাকৃতভাবে। যেসব চ্যানেল বিজ্ঞাপনমুক্তভাবে দেশে আসে সেগুলো চলতে তো বাধা নেই। আমাদের আইন তো তাদের জন্য কোনো বাধা তৈরি করেনি। এগুলো পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। সেসব চ্যানেল অনেক ক্ষেত্রে চলছে আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে সমস্যা আছে। সে সমস্যা কেটে যাবে বলে আশা করি। বাংলাদেশের আকাশ উন্মুক্ত উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, এখানে যেকোনো বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচার করতে পারে। তবে সেটি অবশ্যই বাংলাদেশের আইন মেনে করতে হবে। আইন অনুযায়ী বিদেশি চ্যানেলগুলো বাংলাদেশে কোনোরকম বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করতে পারে না। একই আইন অন্যান্য দেশে আছে। এই আইন ইউরোপ-আমেরিকায় আছে। সেই আইন মেনেই সেখানে ভিনদেশি চ্যানেলগুলোকে সম্প্রচার করতে হয়। ভারতেও সে আইন মেনে বিজ্ঞাপনবিহীন সম্প্রচার করতে হয়, সব বিদেশি চ্যানেলকে। হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের দেশে বছরের পর বছর ধরে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে বিদেশি চ্যানেলগুলো সম্প্রচার করছিল। আমরা বহুবার তাগাদা দিয়েছি। শেষ পর্যন্ত বিদেশি চ্যানেলের যারা দেশীয় প্রতিনিধি তাদের সঙ্গে, ক্যাবল অপারেটরদের সঙ্গে ও টেলিভিশন মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ১ অক্টোবর থেকে আমরা আইন কার্যক্রম চালু করব। সেই অনুযায়ী গতকাল থেকে আমরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছি। তিনি বলেন, যেসব বিদেশি চ্যানেল বিজ্ঞাপন ছাড়া চালাচ্ছে সেগুলো কিন্তু চলছে। তাদের চলতে কোনো বাধা নেই। বিবিসি, সিএনএন, ডিসকভারিসহ বহু চ্যানেল আছে যেগুলো বিজ্ঞাপনবিহীনভাবে বাংলাদেশ প্রদর্শন করা হচ্ছে, সেগুলোতে কোনো বাধা নেই। আর অন্য চ্যানেলগুলোও আমাদের আইন মেনে বিজ্ঞাপনবিহীনভাবে চলতে কোনো বাধা নেই। এই বিজ্ঞাপনসহ চালানোর পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার মতো ইনভেস্ট প্রতিবছর বাংলাদেশে হয় না। সেটি থেকে দেশ বঞ্চিত হয়, মিডিয়া ইন্ড্রাস্ট্রি বঞ্চিত হয়। আর এজন্য গতকাল যে পদক্ষেপ নিয়েছি এটিকে টেলিভিশন মালিকদের সংগঠন অভিনন্দন জানিয়েছে। হাছান মাহমুদ বলেন, ওটিটি প্লাটফর্মের জন্য আমরা নীতিমালা করছি। নীতিমালা খুব সহসা চূড়ান্ত হবে। সেই নীতিমালা যখন জারি হবে, নীতিমালার যারা ব্যত্যয় ঘটাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি তো সব দলের ঐক্য করে আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটানোর কথা বলছে। কিন্তু বিএনপি তো নিজেদের ঐক্য ধরে রাখতে পারছে না। খেলাফত মজলিস তাদের থেকে ঘোষণা দিয়ে চলে গেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাফরুল্লাহ কিংবা অন্য কেউ যা বলুক না কেন, এগুলো হচ্ছে ফাঁকা কলসি বেশি বাজার মতো অবস্থা। এর থেকে বেশি কিছু নয়

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs