
মুহাম্মদ এমরান,লামা(বান্দরবান)প্রতিনিধি:
পার্বত্য বান্দরবানের লামা উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের চারজন শিক্ষক ভূয়া সি.এড প্রোগ্রামের সনদ দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চাকরী করে আসছেন। অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে বান্দরবান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কে পত্র দিয়েছেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক।
সুত্রে জানা গেছে, লামা উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সি.এড প্রোগ্রামের ভূয়া সনদ দিয়ে ১২ জন শিক্ষক চাকুরী করছেন মর্মে শিক্ষকদের একটি পক্ষ লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অভিযুক্ত শিক্ষকদের সি.এড প্রোগ্রামের সনদ যাচাই বাছাই করার জন্য জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট প্রেরণ করেন। পরে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর এ সকল শিক্ষকদের সি.এড প্রোগ্রামের সনদের সঠিকতা যাচাইয়ের নিমিত্তে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় বরাবরে পত্র প্রেরণ করেন বান্দরবান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার।
বাউবি’র যুগ্ম পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক ইঞ্জিনিয়ার এস.এম কামরুল আহসান একপত্রে জানান, মধুঝিরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান (আইডি নং-০৩২০১৮৯০০১৬), রোয়াজা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান (আইডি নং- ০৩২০১৮৯০০০৯), পাহাড়িকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. ইছহাক মিয়া (আইডি নং- ০৩২০১৮৯০০৫৯) ও চিংকুম পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রাজিব দাশ (আইডি নং- ০৪২০১৮৯০০৬৩) এর বি. এড প্রোগ্রামের সাময়িক সনদের কপি যাচাই বাছাই করে ভুয়া চিহ্নিত হয়েছে। তাই এই চার শিক্ষকের বিরুদ্ধে জরুরী ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বান্দরবান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মারক নং- ০৫/বাউবি/পরীক্ষা/সনদ/মার্টশীট যাচাই/২০০৭/৬২৫, তারিখ-২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ইং মূলে অনুরোধ করে পত্র দেওয়া হয়েছে।
এদিকে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাজিব দাশ ও আব্দুর রহমান জানায়, কর্তৃপক্ষের তদন্তে যা হওয়ার তাই হবে। এ বিষয়ে বান্দরবান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোফাজ্জল হোসেন খান বলেন, সরকারি কাজে বান্দরবানের বাহিরে আছি। বান্দরবান গিয়ে অভিযুক্ত চার শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..