রামু সংবাদদাতাঃ
রামুতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বসত বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রতিপক্ষের হামলায় ৪ জন আহত হয়েছেন। বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর বেলা আড়াইটায় ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের অফিসেরচর চরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহতরা হলেন- মৃত জাফর আহমদের ছেলে মোহাম্মদ রশিদ, মোমেন রশিদ ও সায়েম মোহাম্মদ এবং হারুনুর রশিদের স্ত্রী খদিজা বেগম। আহতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরমধ্যে ২ জনের অবস্থা আশংকাজনক।
এ ঘটনায় রামু থানায় লিখিত এজাহার দিয়েছেন হামলার শিকার মোহাম্মদ রশিদ। লিখিত এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে- জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা এ হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে। হামলাকারিরা ৪ জনকে কুপিয়ে ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে আহত করে। এছাড়া মোহাম্মদ রশিদের বসত ঘরের দরজা জানালাসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র তছনচ করেছে।
থানায় দেয়া এজাহারে হামলায় জড়িত ৭ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এরা হলেন- মৃত নুর আহমদের ছেলে আবু বক্কর (৪০) ও নূরুল আমিন (৫০), মৃত আবুল কাশেমের ছেলে তাওহীদ কাদের মুরাদ (৩০) ও তাহমিদ কাদের রিয়াদ (২৭), ওসমান গণির ছেলে নওশাদ হায়দার ইমু (১৯), নুরুল আমিনের স্ত্রী রাজিয়া আক্তার রাজু (৩৯), ওসমান গনির স্ত্রী ঝিনু আরা বেগম (৩৭)।
হামলায় আহত মোহাম্মদ রশিদ জানিয়েছেন- হামলাকারিরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্ত। তারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও পেশী শক্তি ব্যবহার করে তার বসত ভিটার জমি জবর-দখলের জন্য দীর্ঘদিন অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে। এরই জের ধরে হামলাকারিগণ ও অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা ধারালো ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে তার বাড়িতে আকষ্মিক হামলা ও ভাংচুর শুরু করে। এসময় হামলাকারিরা তাকে এবং তার ছোট মোমেন রশিদ, সায়েম এবং খদিজা বেগমকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে। এক পর্যায়ে হামলাকারিদের কবল থেকে প্রাণ রক্ষায় পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বাড়িতে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। এরপরও হামলাকারিরা বাড়ির দরজা জানালা ভাংচুর করে এবং বাড়ির সদস্যদের লক্ষ্য করে ব্যাপক ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। বসত বাড়িতে হামলা চলাকালে রশিদের পরিবারের সদস্যরা ফেসবুকে তা সরাসরি (লাইভ) প্রচার করেন। হামলার বর্বরোচিত এ দৃশ্য ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সর্বত্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাহমিদা মুস্তফা জানিয়েছেন- তিনি হামলার দৃশ্য ফেসবুক লাইভে দেখেছেন। যেভাবে একটি পরিবারের উপর হামলা হয়েছে, তা দূঃখজনক। এ ঘটনায় আক্রান্ত পরিবারকে প্রয়োজনীয় আইনী সহায়তা দেয়া হবে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রশাসন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।
রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান জানিয়েছেন- খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিলো। এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।