দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে সামুদ্রিক জলসীমায় নিষিদ্ধ সময়ে মাছ আহরণ বন্ধে মনিটরিং ও ৬৫ দিন সমুদ্রে মৎস্য আহরণ বন্ধে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মহেশখালী উপজেলা টাক্সফোর্স কমিটির প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ ই মে, মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩ টায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপজেলা টাক্সফোর্স কমিটির সভাপতি ও নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ইয়াছিন সভাপতিত্বে প্রস্তুতি সভা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত প্রস্তুুতি সভায় উপস্থিত ছিলেন মহেশখালী উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) মৎস্য কর্মকর্তা ফারহান তাজিম, উপজেলা খাদ্য কর্মকতা মোঃ আকবর হোসেন, হোয়ানক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর কাসেম চৌধুরী, ছোট মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মঈনুল ইসলাম রিয়ান, কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট শেখ কামাল, মেরীন ফিশারীজ অফিসার মোঃ আলা উদ্দিন, বড় মহেশখালীর প্যানেল চেয়ারম্যান মুহাম্মদ শফিউল আলম, মহেশখালী থানার উপ-পরিদর্শক শাহাদত হোসাইন, মহেশখালী প্রেস ক্লাব সভাপতি আবুল বশর পারভেজ, বরফ মিল মালিক সমিতির পক্ষে শাহা আলম, নুরুল হোছেন, মাহাতাব হোসেন প্রমূখ।
প্রস্তুতি সভায় আগামী ২০ মে হতে ২৩ জুলাই, ২০২৩ পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন সমুদ্রে সকল প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক সকল প্রকার মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধে ব্যাপকভাবে প্রচার, মাইকিং, কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ’সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অভিযান
বাস্তবায়ন। উপজেলার সকল বরফ কল বন্ধ ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করন’সহ বাজারে ও নৌ মোহনায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, নিবন্ধিত মৃত জেলেদের পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদে তালিকা টাঙ্গিয়ে, তাদের নামে চাউল বরাদ্দ না থাকার বিষয়টি উন্মুক্ত করা জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। নিবন্ধিত জেলে যাদের মৎস্যজীবি কার্ড নেই তাদের বিতরন পূর্বে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকতার স্বাক্ষরিত টোকেন প্রদান করার সিন্ধান্ত গৃহিত হয়।
উল্লেখ্য- মহেশখালী উপজেলায় নিবন্ধিত ১৪,৪৪২ জনের জেলের জন্য বন্ধকালিন সময়ে আগামী ২৫ শে মে এর মধ্যেই প্রথম ধাপে ৫৬ কেজি বিতরণ এবং পরবর্তীতে দ্বিতীয় ধাপে ৩০ কেজি চাউল বিতরণ করা হবে বলে সভায় অবিহিত করা হয়।
সভায় আরো জানানো হয় নিবন্ধিত জেলের কার্ড নিয়ে বিতরণ কালে মা-বাবা, স্ত্রী, সন্তান বা ভাই উপস্থিত হলে তাকে চাউল দেওয়া হবে বলে জানান।