রিয়াজ উদ্দিন, কক্সবাজার :
কক্সবাজার সদরের পি.এম.খালী ইউনিয়নের প্রাণকেন্দ্র চেরাংঘর স্টেশন চত্ত্বরে তিন সন্তানকে রাস্তায় ফেলে চলে যায় মা মোহছেনা আক্তার। পি এম খালীতে এটি প্রথম নজিরবিহীন ঘটনা।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে কক্সবাজার সদরের পি.এম.খালী ইউনিয়নের প্রাণকেন্দ্র চেরাংঘর স্টেশন চত্ত্বরে এ ঘটনা ঘটে। রাস্তায় কর্দমাক্ত শিশুদের আর্তনাতে স্থানীয় সচেতন মহল জিয়া উদ্দিন শিবলু ও ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলমের সার্বিক সহযোগিতায় স্থানীয়রা কন্যা সন্তান তিনটিকে উদ্ধার করে। পরবতীর্তে বাবা বেলাল মিয়াকে শিশুদের হস্তান্তর করা হয়।
সন্তানের পিতা বেলাল মিয়া ঈদগাঁও গোমাতলী ৯নং ওয়ার্ড এলাকার মোস্তাফিজের ছেলে। সে ১১বছর আগে একই উপজেলার পূর্ব গজালিয়া এলাকার নুরুল ইসলামের মেয়ে মোহছেনা আক্তার’কে ভালবেসে বিয়ে করে। বর্তমানে তারা ৪ সন্তানের পিতামাতা।
ঘটনার দিন সন্ধ্যায় সন্তানের পিতা বেলাল মিয়া দৈনিক রূপালী কে জানায়, আমি ও আমার স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে পি.এম.খালীর আশ্রয়ন প্রকল্পের বসবাস করে আসছি। আমার স্ত্রী আমাকে বিভিন্নভাবে ,বিভিন্ন বাহানায় ঝগড়া বিবাদ করার চেষ্টা করে। আমি সারদিন কাজ করার পর বাসায় গেলে আমাকে আমার স্ত্রী অকথ্য বাসায় গালাগালি করে এবং তর ছেলেমেয়ে তুর কাছে রাখ বলে চলে যাওয়ার প্রতিনিয়ত কথা বলে।
তিনি আরো জানান, আমাকে গত ১লা অক্টোবর একটি মাইক্রো বাসে তুলে নিয়ে যায় এবং আমার সাথে থাকা অন্যজনের এক মোটরসাইকেল তারা জব্দ করে নেয়। এছাড়া মোহছেনা আমাকে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ভাবে মানহানিকর ঘটনা ঘটিয়ে থাকে। সে কিভাবে পারল একজন গর্ভধারিণী মা হয়ে সন্তানকে মাঝ রাস্তায় রেখে পালায়।
পি.এম.খালী ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, বেলালের বউ যখন সন্তানকে রেখে পালিয়ে যায়, স্থানীয়রা আমাকে অবহিত করলে ঘটনাস্থলে তৎক্ষনাত গিয়ে দেখি সমাজসেবক জিয়া উদ্দিন শিবলু বেলাল ও তার তিন সন্তানকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার করে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক প্রত্যক্ষদশীর্কে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানায়, এর আগেও তারা পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়ে ঝগড়া করে আমার কাছে আসলে, আমি তাদের ঝগড়া মিমাংসা করে করে
এছাড়া ঘটনার আরেক প্রত্যক্ষদশীর্ জানায়, বেলালকে তার বিয়ে করা বউ মোহছেনা বলে তুর ছেলেকে তু নে, আমি আমার বাপের বাড়ি চলে যাচ্ছি।
অন্য এক প্রত্যক্ষদশীর্ জানায়, পলাতক মোহসেনা বেলালের সাথে প্রতিনিয়ত ঝগড়া করে চলে যাওয়ার কথা বলে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় মোহসেনা তার তিন সন্তানকে মাঝ রাস্তায় রেখে পালিয়ে যায়।
তিন সন্তানকে পাওয়ার পর বেলাল জানায়, আমার সন্তানের প্রতি যে পরিমাণ অবহেলা করেছে মোহসেনা এবং যে নির্মম ভাবে আমার সন্তানদের মাঝ রাস্তায় রেখে যেভাবে জগন্য ভাবে পালিয়ে যায় , প্রশাসনের কাছে আমি এর সঠিক বিচার চাই এবং আমার নিরাপত্তা চাই।