নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাধারন মানুষের মাঝে বিক্রি না করে কালোবাজারে বিক্রির সময় ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমদের নেতৃত্বে ও এলাকবাসীর সার্বিক সহযোগিতায় এই চাল জব্দ করা হয়।
রবিবার (৬এপ্রিল) সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের চেরাঘর স্টেশনে এই ঘটনা ঘটে।
এসময় ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমদ জব্দকৃত চালের বিস্তারিত তথ্য সবার মাঝে তুলে ধরে জানান, পিএমখালী ইউনিয়ন আ’লীগ নেতা জহির উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে কার্ডধারীদের কাছে চাল বিক্রি না করে কালোবাজারে বিক্রি করে আসছিলেন।
রবিবার সন্ধ্যার পর তিনি পিএমখালী ইউনিয়ন পরিষদের পূর্বপার্শে ডিলার পয়েন্ট থেকে ২১বস্তা চাল বস্তা পরিবর্তন করে দুইটি টমটমে উঠিয়ে কালোবাজারে বিক্রির জন্য পাচার করছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, এ সময় স্থানীয় জনতা হাতেনাতে টমটম সহ তাকে আটক করে। পরে বিষয়টি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, গণমাধ্যম, পুলিশ প্রশাসন, ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে অবগত করলে পুলিশসহ সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) শারমিন সুলতানা ঘটনাস্থলে এসে এই চালগুলো জব্দ করে।
সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) শারমিন সুলতানা বলেন, ওএমএস ডিলার জহির কার্ডধারীদের কাছে চাল বিক্রি না করে গোপনে কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে টমটম যোগে পাচারকালে স্থানীয় জনতা আটক করে। আমাদেরকে খবর দিলে পুলিশসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে ২১বস্তা চাল জব্দ করা হয়।
এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের হয়েছে|
প্রত্যক্ষদশীর্রা জানান, রাতের অন্ধকারে ডিলারের গুদাম থেকে ২১বস্তা চাল বস্তা পরিবর্তন করে টম টম যোগে কক্সবাজার পিটিআই স্কুলের এক ব্যবসায়ীর কাছে নিয়ে যাওয়ার সময় পিএমখালীর চেরাংঘর স্টেশনের উত্তর পার্শ্বে মসজিদের সামনে থেকে জব্দ করছে পিএমখালী ইউনিয়ন জনসাধারণ।
পরে জনসাধারণের পক্ষ থেকে ইউনিয়ন শ্রমিদলের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমদ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, গণমাধ্যম, পুলিশ প্রশাসন ও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের অবহিত করলে তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে এবং ডিলার জহির উদ্দিনকে ২১বস্তা চাল সহ আটক করে। এসময় সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন সুলতানা উপস্থিত হয়ে চালগুলো জব্দ করে এবং পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস ও দিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে, অভিযুক্ত জহির উদ্দিন ওএমএস এর চাল বিক্রি না করে তার ব্যক্তিগত চাল বিক্রি করার জন্য নিয়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন। কিন্তু তিনি যথোপযুক্ত কোন প্রমাণ দেখাতে না পারায় তাকে আটক করে চাল জব্দ করে এলাকাবাসী।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ট্যাগ অফিসার জানান, এলাকাবাসীর সহযোগিতায় পিএমখালী থেকে ২১ বস্তা চাল জব্দ করেছি। আপাতত আমরা জহির এন্টারপ্রাইজের বিরূদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে।
পরে এসি ল্যান্ড শারমিন সুলতানার নেতৃত্বে অভিযুক্ত জহির উদ্দিনকে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এবং পরের দিন সদর মডেল থানা থেকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।