রিয়াজ উদ্দিন, কক্সবাজার:
নবমী পেরিয়ে আজ বিজয়া দশমী। নবমীর রাতে মন্ডবে মন্ডবে চলছিল দূর্গা মায়ের আরাধনা। বিসর্জন দেওয়া হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দেবী দূর্গাকে। নবমী রাতে বিদায়ের ঘন্টা বাজে মন্ডবে মন্ডবে। কারণ দশমীতে দেবী দূর্গা ফিরে যাবে কৈলাসে। সকালেই শুরু হয় মহানবমী বিহিত পূজা। হিন্দুধর্মাবলম্বী অনেকের বিশ্বাস, মহানবমীর দিন হচ্ছে দেবী দুর্গাকে প্রাণভরে দেখে নেওয়ার ক্ষণ। অগ্নি সব দেবতার যজ্ঞভাগ বহন করে যথাস্থানে পৌঁছে দিয়ে থাকেন। দূগার্পূজার অন্তীম দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয় নবমীকে। আজ কেবল বিজয়া ও বিসর্জনের পর্ব।
সদরের পি.এম.খালীতে একমাত্র পূজামন্ডব জুমছড়ি, যেখানে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এই শারদীয় দূগোর্ৎসব।সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় পূজা। পরে নৃত্য, গীতা পাঠ প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে শিশুরা বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।
এই পূজা মন্ডব পরিদর্শন করতে এসেছে পিএমখালীর বিভিন্ন দলের নেতাকমীর্, সমাজসেবক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ আমন্ত্রিত অতিথি। এতে উপস্থিত হন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, পি.এম.খালী ইউনিয়ন শাখার সভাপতি আবদুল কাদের, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা হারুনুর রশিদ, জাহাঙ্গীর আলম, রহিম উল্লাহ, সমাজ সেবক জিয়া উদ্দিন শিবলুসহ প্রমুখ।
এদিকে দেশের সকল হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বক্তারা বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে এই পূজা সম্পন্ন হোক সেটাই আমরা চাই। আমরা পাশে আছি। আইন—শৃংখলা রক্ষকারি বাহিনীর সদস্য থেকে শুরু করে আমাদের সংগঠনের নেতাকর্মী প্রত্যেকেই পাশে থাকবেন। কোর ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যেন এখানে না ঘটতে পারে সেজন্য আমরা সকলেই সতর্ক থাকবো।’