চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী খালের দখলকৃত চরের কর্ণার না কেটে ব্লক ডাম্পিং করা হলে,বর্ষার উজান থেকে আসা ঢলের পানিতে খালের উত্তরপাশের চলাচলপথ,ঘরবাড়ী ভেঙ্গে নাল জমি সহ খাল হয়ে যাওয়ার শঙ্কা বিদ্যামান।এমন অভিযোগ স্হানীয় ও জন-প্রতিনিধির।
সরেজমিনে গেলে,অভিযোগকারী স্হানীয় লোকজন সহ জন-প্রতিনিধি পারভিন আকতার জানান,প্রবাহমান খুটাখালী খালের ৫ ও ৭নং ওয়ার্ডসস্হ রাবার ড্যাম সংলগ্ন পূর্বপাশে বিশাল চর উঠে।এই চরটি ওই এলাকার মাষ্টার আহমদ খায়েরের ছেলে ইসলাম আহমদ দখল করে রাখেন।ক্রমান্বয়ে চরটি বড় আকার ধারণ করে।বর্তমানে চরটিতে ব্লক বানিয়ে স্তুপ রাখা হয়।পরে ঠিকাদার খালের বর্তমান নকশা অনুসারে ব্লক ডাম্পিং কাজ শুরু করেন।এমতাবস্থায় গেল দিনের ভারি বর্ষে উজান থেকে আসা ঢলের পানিতে চরের কর্ণারের ধাক্কায় খালের উত্তরপাশের সড়কে ভগ্নাদর্শা নেমেছে।ফলে এভাবে ডাম্পিং কাজ শেষ হলে, চলিত বর্ষার মৌসুমে উত্তরপাশের সড়ক,ঘরবাড়ী সহ নাল জমি ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভবনা বিদ্যামান।তাই সকলের একটাই অভিযোগ চরের কর্ণারের সামান্য মাটি কেটে ফেলে ব্লক ডাম্পিং এ বেঁচে যাবে খালের উত্তরপাশ।কারণ চরটি কারো খতিয়ানি জায়গা নয়,খাস জায়গা।বিধায় জনস্বার্থে ভবিষ্যৎ ভেবে বিষয়টি ঠিকাদার,উপ-প্রকৌশলী সহ স্হানীয় চেয়ারম্যানকে অবগত করেছি।তাই এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ দাযের প্রস্তুতি নিয়েছি বলে জানান পারভিন।
অভিযুক্ত ব্যক্তি চরের মালিকানা দাবিদার ইসলাম আহমদ মুঠোফোনে বলেন,আমার নাল জায়গা কেটে খালের জন্য দিতে পারবো না।এমন অনুরোধ রাখবেন না বলে জানান।
এবিষয়ে ঠিকাদার গিয়াস উদ্দিন বলেন,চরটি আমি ভাড়া নিয়েছি ব্লক তৈরীর কাজের জন্য।ভাড়াদাতা চরটি না কাটতে অনুরোধ করেন।এখন এলাকার স্বার্থে তিনি মানবিকতায় দেখালে,আমি এলাকাবাসীর অভিযোগ সমাধান করতে পারতাম।এখন আমি শিডিউল মত কাজ করছি।তাহলে জনস্বার্থে নালিশী জায়গাতে কাজ বন্ধ রেখে অন্য দিক করব।অভিযোগ থাকলে কর্তৃপক্ষকে জানার অনুরোধ করেন।
এবিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের চকরিয়ার দায়িত্ব থাকা উপ-প্রকৌশলী জামাল হোসেন বলেন,বেঁড়িবাধের কাজটি খালের বর্তমান নকশা মত হচ্ছে।এতে কারো অভিযোগ থাকলে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানোর অনুরোধ করেন।