অনলাইন ডেস্ক:
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের ওপর আরোপিত পালটা শুল্ক ৩ মাসের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছেন। তবে চীনের ওপর বাড়তি শুল্ক বহাল রাখার পাশাপাশি তা আরও বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
বুধবার ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, “৯০ দিনের জন্য পালটা শুল্ক স্থগিত করেছি। এই সময়ের মধ্যে ১০ শতাংশ পালটা শুল্ক কার্যকর থাকবে।” তিনি আরও বলেন, “বিশ্ববাজারের প্রতি চীনের যে অসম্মান, তার ভিত্তিতে আমি ঘোষণা করছি যে, চীনের ওপর আরোপিত শুল্ক এখন থেকে ১২৫ শতাংশ হবে, যা সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হবে। আশা করি, খুব শিগগিরই চীন বুঝবে যে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশকে ঠকিয়ে চলা আর টেকসই নয় এবং একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
সাহসিক সিদ্ধান্ত বলে প্রশংসা ট্রেজারি সেক্রেটারির
এই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট বলেন, “ট্রাম্প অসাধারণ সাহস দেখিয়েছেন।” তিনি আরও জানান, “আমরা বিশ্বের সমস্ত দেশকে জানিয়েছিলাম—পালটা ব্যবস্থা না নিলে তোমরা পুরস্কৃত হবে। সুতরাং, যারা আলোচনায় আসতে চায়, আমরা তাদের কথা শুনতে প্রস্তুত।”
বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক বলেন, “স্কট বেসেন্ট এবং আমি প্রেসিডেন্টের পাশে বসে ছিলাম, যখন তিনি তার প্রেসিডেন্সির সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ট্রুথ পোস্টটি লেখেন। বিশ্ব এখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত, কিন্তু চীন ঠিক উল্টো পথে হাঁটছে।”
শেয়ারবাজারে ব্যাপক উল্লাস
ট্রাম্পের ঘোষণার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে ব্যাপক উল্লাস দেখা যায়। সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডাউ জোন্স সূচক এক লাফে ২,২০০ পয়েন্ট বা ৫.৯% বেড়ে যায়। এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক ৬.৫% এবং নাসডাক সূচক ৮% পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। এর আগে, ট্রাম্প যখন উচ্চ শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিলেন, তখন বাজারে ধস নেমেছিল।
বাংলাদেশও ছিল নিশানায়, ইউনূসের চিঠিতে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন
বিশ্বের অধিকাংশ দেশের মতো বাংলাদেশও ট্রাম্পের পালটা শুল্ক নীতির আওতায় ছিল। বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করেছিলেন ট্রাম্প। এই ঘোষণার পরপরই প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস এক চিঠির মাধ্যমে তিন মাসের জন্য এই বাড়তি শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখার অনুরোধ জানান ট্রাম্পকে। শেষ পর্যন্ত সেই অনুরোধই গ্রহণ করলেন ট্রাম্প।