শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০২:১২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কক্সবাজারের সংকট-সম্ভাবনার কথা বলতে “আওয়াজ”র আত্মপ্রকাশ জুলাই ফাউন্ডেশনের অর্থ আত্মসাত, নাগরিক কমিটির নেত্রী বহিষ্কার। প্রবেশপত্র না পেয়ে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি উখিয়ার ১৩ শিক্ষার্থী, প্রধান শিক্ষক আটক ভারুয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগ নেতাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করার পাঁয়তারা কক্সবাজার সমুদ্রে যৌথ অভিযানে ৫০ হাজার ইয়াবাসহ সাত রোহিঙ্গা আটক পূর্বাচল প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি: হাসিনা ও পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ট্রাম্পের শুল্ক থেকে তিন মাস রেহাই পাবে বাংলাদেশসহ অনেকে, চীনের কাঁধে আরো বোঝা খুটাখালীতে অপহৃত যুবকের মোটরসাইকেল উদ্ধার বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে হিজড়া গোষ্ঠীর উৎপাত, ট্যুরিস্ট পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান বন্দি বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ফেরানোর চেষ্টা করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

টেকনাফে শীর্ষ মানবপাচার গ্রুপের প্রধান ইয়াছিনসহ গ্রেফতার ৪,উদ্ধার ৫৮ জন

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৩
  • ৫৫০ বার পঠিত

নুরুল হোসাইন, টেকনাফ:

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুল ইসলাম পিপিএম (বার) নির্দেশক্রমে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উখিয়া সার্কেল রাসেল,পিপিএম-সেবা এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ ওসমান গনি এর নেতৃত্বে বিশেষ চৌকষ টিম ২৪ নভেম্বর ২০২৩ ইং তারিখ সন্ধ্যার সময় কক্সবাজার জেলার টেকনাফ মডেল থানাধীন টেকনাফ সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বিরতিহীন সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করিয়া মানব পাচারকারী চক্রের ইয়াছিন বাহিনীর প্রধান টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মহেশখালীয়া পাড়া, ৫নং ওয়ার্ডের আমজল হোসেন ও মাতা রেহেনা আক্তার এর ছেলে মোঃ ইয়াছিন (২৩), দরগারছড়া ১নং ওয়ার্ডের জলু সওদাগরের ছেলে মোঃ জুবায়ের (৩৫), উত্তর লম্বরী, ২নং ওয়ার্ডের বাদশা মিয়ার ছেলে নাজির হোছন (৬১),

দুর্গাপুর থানা-বেগমগঞ্জ, লক্ষীনারায়নপুরের রশিদ মিয়ার বাড়ীর পাশে, ৯নং ওয়ার্ড জেলা-নোয়াখালীদের

তাজুল ইসলামের ছেলে রামিমুল ইসলাম রাদীদ (৩১) কে গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের হেফাজত হইতে পাচারের জন্য জড়ো করে রাখা ৫৮ জন নারী, পুরুষ ও শিশু উদ্ধার করা হয়।

২৪/১১/২০২৩ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ১৮.৩৫ ঘটিকার সময় টেকনাফ থানাধীন টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাতিয়ারঘোনা সাকিনস্থ বিজিবি সাইনবোড সংলগ্ন মেরিন ড্রাইভ সড়কের পূর্ব পাশে পৌঁছালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাতানামা আসামীগণ দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টাকালে অফিসার ও ফোর্সের সহায়তায় উপরোক্ত আসামীদেরকে ধৃত করিতে সক্ষম হইলেও অন্যান্য আসামীগণ দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। অত্র মামলার বাদী সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সের সহায়তায় মানব পাচারের শিকার হওয়া ভিকটিম ০৯ জন পুরুষ, ১৬ জন নারী ও আইনের সংস্পর্শে আসা শিশু ৩৩ জন সহ মোট ৫৮ জন কে হেফাজতে নেন। উদ্ধারকৃত ভিকটিমদের জিজ্ঞাসাবাদ করিলে ভিকটিম ০৯ জন পুরুষ, ১৬ জন নারী ও আইনের সংস্পর্শে আসা শিশু ৩৩ জন সহ মোট ৫৭ জন মায়ানমারের নাগরিক এবং ০১ জন বাঙ্গালী। উপরোক্ত ৫৭ জন উখিয়া-টেকনাফ থানাধীন বিভিন্ন রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পের বাসিন্দা বলিয়া জানায়।

টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ ওসমান গনি জানান,ভিকটিমদের আর্থ-সামাজিক অনগ্রসরতা ও পরিবেশগত অসহায়ত্বকে পুঁজি করে উন্নত জীবন-যাপন, অধিক বেতনে চাকুরী ও অবিবাহিত নারীদেরকে বিবাহের মিথ্যা প্রলোভন দেখাইয়া প্রতারণা পূর্বক ছল-চাতুরীর আশ্রয় নিয়া যৌন নিপীড়ন, প্রতারণামূলক বিবাহ ও জবরদস্তিমূলক শ্রমসেবা আদায় এর অভিপ্রায়ে ৩/৪ দিন যাবৎ ধাপে ধাপে আসামীরা পরস্পর যোগসাজশে বর্ণিত ভিকটিমদের ঘটনাস্থলে আনিয়া পাচারের প্রস্তুতি নেয়। পরবর্তীতে পাচারকারীরা বিভিন্ন সিন্ডিকেটের যোগসাজশে মায়ানমার, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ইন্দোনিশিয়া ভিকটিমদের পাচার করে। অপরাপর সংঘবদ্ধ জড়িত মানব পাচারকারীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs