শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
চকরিয়ায় সাংবাদিক শাহ আলমের উপর হামলা ও রাইচমিল লুটের ঘটনায় দুই মামলা আসামি হলেই গ্রেপ্তার নয়, মানতে হবে নতুন নির্দেশনা কক্সবাজারের সংকট-সম্ভাবনার কথা বলতে “আওয়াজ”র আত্মপ্রকাশ জুলাই ফাউন্ডেশনের অর্থ আত্মসাত, নাগরিক কমিটির নেত্রী বহিষ্কার। প্রবেশপত্র না পেয়ে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি উখিয়ার ১৩ শিক্ষার্থী, প্রধান শিক্ষক আটক ভারুয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগ নেতাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করার পাঁয়তারা কক্সবাজার সমুদ্রে যৌথ অভিযানে ৫০ হাজার ইয়াবাসহ সাত রোহিঙ্গা আটক পূর্বাচল প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি: হাসিনা ও পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ট্রাম্পের শুল্ক থেকে তিন মাস রেহাই পাবে বাংলাদেশসহ অনেকে, চীনের কাঁধে আরো বোঝা খুটাখালীতে অপহৃত যুবকের মোটরসাইকেল উদ্ধার

জরাজীর্ণ ভবনে চলছে কুতুবদিয়া আদালতের কার্যক্রম

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪
  • ৯৭ বার পঠিত

মোহাম্মদ মিজানুর রহমান,কুতুবদিয়া,কক্সবাজার:

কক্সবাজারের কুতুবদিয়া আদালত ভবনটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন স্থানের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে। ফলে বিচারক, আইনজীবী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ আদালতপাড়ায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা ঝুঁকি নিয়ে এই ভবনে কাজ করছেন।

গত কিছুদিন ধরে কয়েকবার আদালত ভবনের গারদখানা এবং বারান্দার সামনে ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন পিলার গুলোর বড় অংশের পলেস্তারা খসে পড়েছে। তবে এখনো কেউ হতাহত হয়নি।

গত শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, একতলা ভবনটিতে বারান্দা, হাজতখানা, প্রশাসনিক কার্যালয় রয়েছে। ভবনের উত্তর পাশে টিনসেট বিল্ডিং এ কুতুবদিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আদালতের প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায়, গত কিছুদিন ধরে প্রতিদিনই বিকট শব্দে পলেস্তারা খুলে পড়তেছে । এতে বিচারক, আইনজীবী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ আদালতপাড়ায় দায়িত্বরত পুলিশ সবাই ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। আদালতে আসা বিচারপ্রার্থীরা যাতে দুর্ঘটনার শিকার না হন, সে জন্য ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে না যাওয়ার জন্য রশি দিয়ে পিলার বেঁধে রাখা হয়েছে।

এদিকে আর কোন ভবন না থাকায় আদালতের কার্যক্রম জরাজীর্ণ পুরোনো ভবনেই চলছে। এবং কোনো নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে কুতুবদিয়া এডভোকেট এসোসিয়েশনের সভাপতি এডভোকেট ফিরোজ আহমেদ (৬৩) বলেন, কুতুবদিয়া আদালতের ভবনটি অনেক আগেই মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। আদালত কার্যালয়ের ছাদসহ বিভিন্ন স্থানের পলেস্তারা প্রায়ই খসে পড়ছে। এ কারণে কাজ করার সময় আমাদের আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে। ভবনটি দ্রুত সংস্কার করা উচিত। অথবা এটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে নতুন একটি ভবন করা প্রয়োজন। যেহেতু কুতুবদিয়া আদলতটি দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন সাগরের মাঝখানে। পাশের উপজেলায় যেতে সাগর পাড়ি দিয়ে যেতে হয়। মানুষের যাতায়াতে কষ্টের কোন সীমা থাকে ন। তাই অতি দ্রুত একটি নতুন ভবন করা প্রয়োজন।

সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৫ সালে কুতুবদিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত ভবনের কাজ শুরু হয় তৎকালীন এরশাদ সরকার আমলে। এর পর থেকে দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় কুতুবদিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত ভবনটি এখন জরাজীর্ণ হয়ে গেছে।

কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক রায়হান বলেন, প্রতিদিন ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে। এতে আমাদের পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বরত অবস্থায় ঝুঁকির মধ্যে থাকেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজারের গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন,
কুতুবদিয়া আদালত ভবনটি পুরোনো হওয়ায় এটি নাজুক হয়ে পড়েছে। এটি কক্সবাজারের কয়েকটি উপজেলা ও বাংলাদেশের আরও কয়েকটি উপজেলার আদালত নতুন ভবন নির্মাণের জন্য গণফূর্ত মন্ত্রণালয় একটি প্রজেক্ট নিয়েছেন। এটি কখন কোথায় কাজ শুরু হবে সেটি আইন মন্ত্রণালয় ও গণফূর্ত মন্ত্রণালয় সমন্য হয়ে কাজ করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs