মঈন উদ্দিন মুরাদ:
কক্সবাজার সদরের খুরুশকুলের প্রধান সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে।এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ কক্সবাজার শহরের প্রবেশের একমাত্র রাস্তা হওয়া যানচলাচল বৃদ্ধি পাচ্ছে দিনের পর দিন, বাড়তি যানচলাচল, সুষ্ঠু ড্রেইনিং ব্যবস্হা না থাকার কারনে খানিকটা বৃষ্টি হলেই রাস্তায় জমে যায় পানি।ফলে রাস্তাঘাটে দেখা দিয়েছে বড় বড় গর্ত,এতে একদিকে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে অপরদিকে ভোগান্তিতে পড়ছে পথচারীরা। ঈদগাঁও এর সিএনজি চালক হুমায়ুন জানান,ঈদগাও থেকে কক্সবাজার শহরের প্রবেশের জন্য দূরত্ব কম হওয়ায় সাধারণ ইদগাওয়ের প্রায় মানুষ চৌফলদন্ডী – খুরুশকুল সড়ক কক্সবাজার শহরে আসা-যাওয়া করে এতে অনেকটাই দ্রুত সময়ের মধ্যে পৌঁছা যায়। তবে যাতায়াতের সুযোগ সুবিধা থাকলেও বর্তমানে চৌফলদন্ডী -খুরুশকুলের প্রধান সড়কের বিভিন্ন স্হানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হচ্ছে । এ ব্যাপারে চৌফলদন্ডী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নাছির উদ্দিন জানান,বৃষ্টির পানি সড়কে জমে সড়কের বিভিন্ন স্হানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে,পরিষদের পক্ষ ছোট ছোট যে সব গর্ত রয়েছে তা পাথর দিয়ে ভরাট করে পথচারীদের দুর্দশা লাঘব করার জন্য কাজ করছে। তবে সড়কে যে সকল বড় ধরনের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে তা সংস্কার করে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে তোলার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
খুরুশকুলে অবস্থিত নিউরো এমিকাস হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ননী বালা বলেন, রাস্তাঘাট ভেঙে যাওয়ায় একদিকে চালকরা নির্ধারিত ভাড়ার চেয়েও অতিরিক্ত বাড়া দাবি করেন।রাস্তাঘাটের অবস্হা দেখে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে চলাচল করার ছাড়া আর কোন উপায় থাকেনা।
খুরুশকুল উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র জাওয়েন রাখাইন বলেন, স্কুলে আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু বাজারের উত্তর মাথা স্হানীয় মহিলা ইউপি সদস্যের বাড়ির সামনে বড় ধরনের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে প্রায় ৪/৫ মাস ধরে, গুড়ি বৃষ্টি হতে না হতেই হাটু পানি জমে যায়।ফলে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের বিকল্প সড়ক না থাকায় হাটু পানি দিয়ে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে শিক্ষার্থী ও পথচারীদের।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের সাথে যোগাযোগ করা হলে রূপালী সৈকত প্রতিবেদককে জানান,সড়কে গর্তের সৃষ্টির বিষয়টি আমরা অবগত রয়েছি।মূলত খুরুশকুল -চৌফলদন্ডী সড়কে পানি নিষ্কাশনের জন্য যে ড্রেইনিং ব্যবস্হা থাকার কথা তা সড়কের উভয় পাশে দালান গড়ে উঠার কারনে তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। স্হানীয় জনসাধারণও তাদের জায়গা ছেড়ে না দেওয়ায় ড্রেইন নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না।যদিও বা ড্রেইন নির্মাণ করতে হয় তাহলে রাস্তা আরও সংকীর্ণ হয়ে যাবে।তবে ইতিমধ্যে সড়কটি পুনঃসংস্কার করার জন্য টেন্ডার হয়েছে, চলতি মাসেই কাজ শুরু করার আশ্বাস দেন তিনি