চকরিয়া প্রতিনিধিঃ
চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ফুলছড়ি মৌজার পূর্ব নয়াপাড়া এলাকার ২০০২ সালের ৭ এপ্রিলে একই এলাকার বাচা মিয়া থেকে ১৬৭৩ নং কবলা মুলে ৮০ শতক নাল জমি ক্রয় করেন ওই এলাকার দুদু মিয়ার ছেলে হাজী মোঃ ইসলাম।ক্রয়ের পরে তার নামে ৮২২ নং সৃজিত খতিয়ান হয়েছে।
ভূক্তভোগী ইসলাম অভিযোগ করেন- আমি ফুলছড়ি মৌজার আর.এস খতিয়ান নং-১২০/৩,দাগ নং-২৪০৭,তুলনামূলক বি.এস খতিয়ান নং-২১৮,দাগ নং-৫০০৭ জমির ০.৮০শতক জমি ক্রয় করে দখল বুঝিয়ে নিই।এসময় কেউ আমাকে বাঁধা দেয়নি।পরে যখন আমি চাষ করতে যায়। তখন একই এলাকার মৃত মৌঃ মোস্তফা কামালের ছেলে রেজাউল করিম, মৃত কবির আহমদের স্ত্রী সেতারা বেগম,মৃত ইলিয়াসের ছেলে ইসমাইল ও মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে সাইফুল ইসলামেরা আমাকে জমিতে না যাওয়ার জন্য বাঁধা দেয়।তখন আমি নিরুপায় হয়ে সহকারী জজ আদালত,চকরিয়া বরাবর অপর মামলা নং-৪/২০১২ মুলে মামলা দায়ের করি।দীর্ঘদিন মামলা চালানোর পরে বিবাদীগণের অবহেলায়,সুনির্দিষ্ট কাগজাদি উপস্থাপন করতে না পারায় বিজ্ঞ বিচারক অরুণ পাল ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারী রায়/ডিক্রী দেন।আদেশে উল্লেখ রয়েছে-নালিশী জমিতে বাদীকে জোরপূর্বক বে-আইনীভাবে উচ্ছেদ না করার জন্য বিবাদীগণকে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দ্বারা বারিত করা হইল।
কিন্তু বিবাদীরা পৈশী শক্তির মাধ্যমে অদ্যবধি পর্যন্ত প্রায় ৯০ কড়া মত জমিতে আমাকে ভোগদখলে যেতে দিচ্ছেন না।বিধায় আমি আমার ক্রয়কৃত জমি উদ্ধারের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি বলে জানান তিনি।
বিবাদী রেজাউল করিম মুঠোফোনে জানান-আমি যতটুকু জেনেছি আদালতের ডিক্রী ঠিক আছে।একই তফশিলের জমি।তবে এবিষয়ে চাচা আবু ছিদ্দিক ও বাদীর স্ত্রী খালেদা বেগমের মামারা এ ব্যাপারে ভাল জানবে।এখানে আমাকে জড়িয়ে কথাবলা ঠিক নয় বলে জবাব দেন তিনি।