শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৩০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কক্সবাজারের সংকট-সম্ভাবনার কথা বলতে “আওয়াজ”র আত্মপ্রকাশ জুলাই ফাউন্ডেশনের অর্থ আত্মসাত, নাগরিক কমিটির নেত্রী বহিষ্কার। প্রবেশপত্র না পেয়ে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি উখিয়ার ১৩ শিক্ষার্থী, প্রধান শিক্ষক আটক ভারুয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগ নেতাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করার পাঁয়তারা কক্সবাজার সমুদ্রে যৌথ অভিযানে ৫০ হাজার ইয়াবাসহ সাত রোহিঙ্গা আটক পূর্বাচল প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি: হাসিনা ও পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ট্রাম্পের শুল্ক থেকে তিন মাস রেহাই পাবে বাংলাদেশসহ অনেকে, চীনের কাঁধে আরো বোঝা খুটাখালীতে অপহৃত যুবকের মোটরসাইকেল উদ্ধার বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে হিজড়া গোষ্ঠীর উৎপাত, ট্যুরিস্ট পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান বন্দি বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ফেরানোর চেষ্টা করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

চাচার খুনের প্রতিশোধে আওয়ামী লীগ নেতা টিপুকে হত্যা: পুলিশি তদন্তের চাঞ্চল্যকর তথ্য উদঘাটন

রিয়াজ উদ্দিন, কক্সবাজার
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৫৫ বার পঠিত

রিয়াজ উদ্দিন:

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গোলাম রব্বানী টিপুকে হত্যার পেছনে চাচার খুনের প্রতিশোধের গল্প উঠে এসেছে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সি-গাল পয়েন্টে ৯ জানুয়ারি এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) মৌলভীবাজার থেকে গ্রেফতার হওয়া তিনজনের কাছ থেকে এসব তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।কক্সবাজার জেলার ভ্রমণ গাইড
গ্রেফতারকৃতদের পরিচয়: ঋতু (২৪), পিতা মো. সেলিম আকন্দ, খুলনার দেওয়ান মোল্লাপাড়া।শেখ শাহরিয়ার ইসলাম পাপ্পু (২৭), পিতা জামাল শেখ, একই এলাকা। গোলাম রসুল (২৫), পিতা মো. হায়দার সরদার, মধ্য কারিগর পাড়া।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার রহমত উল্লাহ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ২০১৩ সালে চরমপন্থী সংগঠন পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা হুজি শহীদুলকে হত্যায় জড়িত ছিলেন গোলাম রব্বানী টিপু। শহীদুলের ভাতিজা শেখ শাহরিয়ার ইসলাম পাপ্পু সেই হত্যার প্রতিশোধ নিতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানায়, পূর্বপরিকল্পিতভাবে কক্সবাজারকে হত্যার স্থান হিসেবে বেছে নেয়া হয়। ঋতু নামের এক নারীকে ব্যবহার করে টিপুর গতিবিধি নজরদারি করা হয়। পাপ্পু ও গোলাম রসুল কক্স কুইন রিসোর্টের ২০৮ নম্বর কক্ষে অবস্থান করছিলেন। হত্যার পর ব্যবহৃত অস্ত্র ওই কক্ষের চিলেকোঠায় ফেলে পালিয়ে যান তারা।
পুলিশ অস্ত্র সরবরাহকারীদের খুঁজছে। একই সঙ্গে কক্সবাজারে টিপুর বন্ধু মেজবাহ উদ্দিন ভুট্টো ও খুলনার সাবেক কাউন্সিলর শেখ হাসান ইফতেখার চালুর উপস্থিতি নিয়েও তদন্ত করছে।
হত্যার পরদিন টিপুর ভগ্নিপতি মো. ইউনুস আলী শেখ অজ্ঞাত পরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ সুপার রহমত উল্লাহ বলেন, “স্থানীয় আধিপত্য এবং প্রভাব বিস্তারও এই হত্যার পেছনের অন্যতম কারণ।” হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs