জিয়াউল হক জিয়া,চকরিয়া।
কক্সবাজারের চকরিয়ায় এসআইসহ তিন পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনার প্রধান আসামী মো. রাকিব (২০) কে একটি এলজি ও দুই রাউন্ড কার্তুজসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে ওই ঘটনায় হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির এসআই অপু দে বাদী হয়ে এজাহারনামীয় ৩০ জন ও ১৭-১৮ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে চকরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় রাকিবসহ ১৬জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে ওসি নিশ্চিত করেছেন। রাকিব বরইতলী ইউনিয়নের পহরচাঁদা হাফালিয়াকাটা গ্রামের রশিদ আহমদের ছেলে।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে এসআই শামিম আল হাসান এর নেতৃত্বে তিন পুলিশ সদস্য নিয়মিত টহলকালে বরইতলী-মগনামা সড়কের দিকে যায়। এসময় সড়কের হাফালিয়াকাটা এলাকায় ছুরিসহ এক যুবক পুলিশ দেখে ঘরে ফিরে আত্মীয়স্বজন নিয়ে জড়ো হয়ে এসআইসহ তিন পুলিশকে কুপিয়ে জখম করেন।
এ সময় তাদের অস্ত্রও কেড়ে নেন তারা। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে অভিযান চালিয়ে পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়। এসময় হামলায় জড়িত অভিযোগে ১৫ নারী-পুরুষকে গ্রেফতার করা হয়।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ঘটনার পর থেকে প্রধান আসামী রাকিব পলাতক ছিল। তাকে গ্রেফতার করতে বিভিন্ন সোর্স লাগানো হয়।
বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে রাকিব সিএনজি অটো রিকসা করে বাড়ি ফেরে। এসময় তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার কথামত বাড়ি থেকে একটি দেশীয় তৈরী এলজি ও দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার হয়।
ওসি আরো বলেন, রাকিব তার বাড়িতে রাখা অবৈধ অস্ত্র সরিয়ে নিতে বাড়ি ফেরে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন। পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় একটি ও অস্ত্র আইনে আরো একটি মামলা হয়েছে।