শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
আসামি হলেই গ্রেপ্তার নয়, মানতে হবে নতুন নির্দেশনা কক্সবাজারের সংকট-সম্ভাবনার কথা বলতে “আওয়াজ”র আত্মপ্রকাশ জুলাই ফাউন্ডেশনের অর্থ আত্মসাত, নাগরিক কমিটির নেত্রী বহিষ্কার। প্রবেশপত্র না পেয়ে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি উখিয়ার ১৩ শিক্ষার্থী, প্রধান শিক্ষক আটক ভারুয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগ নেতাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করার পাঁয়তারা কক্সবাজার সমুদ্রে যৌথ অভিযানে ৫০ হাজার ইয়াবাসহ সাত রোহিঙ্গা আটক পূর্বাচল প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি: হাসিনা ও পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ট্রাম্পের শুল্ক থেকে তিন মাস রেহাই পাবে বাংলাদেশসহ অনেকে, চীনের কাঁধে আরো বোঝা খুটাখালীতে অপহৃত যুবকের মোটরসাইকেল উদ্ধার বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে হিজড়া গোষ্ঠীর উৎপাত, ট্যুরিস্ট পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান

ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে ৫৬ চাকমা ও বড়ুয়ার অনুপ্রবেশ।

আবদুর রশিদ, নাইক্ষ্যংছড়ি(বান্দরবান)প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৬১ বার পঠিত

আবদুর রশিদ, নাইক্ষ্যংছড়ি(বান্দরবান)প্রতিনিধি:

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম বাইশ ফাঁড়ী সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে চাকমা ও বড়ুয়া পরিবারের ৫৬ জন সদস্য অনুপ্রবেশ করেছে। তারা বর্তমানে উখিয়ার কুতুপালংয়ে হিন্দু রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় প্রশাসনের নিরাপত্তা হেফাজতে রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশফাঁড়ি সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করে তারা।

 

গত এক সপ্তাহ আগে, ১২ জন এবং ১৮ নভেম্বর সোমবার সকালে চাকমা পরিবারের নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ৪৪ জন অনুপ্রবেশ করে।

তাদের কুতুপালং হিন্দু রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় রাখা হয়েছে বলে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) যারীন তাসনিম জানান।

মিয়ানমার রাখাইনের মংডু থানার মেদাই এলাকার মুসা তংচংগ্যা (৪০) পিতা মুরুইংগ্যা কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদ্রোহীদের নির্যাতনের কারনে নিজ দেশ ছেড়ে মিয়ানমারের মেদাই পাড়া থেকে ৪৪ জন এপারে চলে আসছি।

বাবু বড়ুয়া (৩২) পিতা মৃত রায়মন বড়ুয়া কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, টেকিবনিয়াস্থ নাটালা পাড়া থেকে দুই পারের মোট ১২ সদস্য বিদ্রোহী ও জান্তাদের সংঘর্ষে কারনে বাংলাদেশ সীমান্তের ৩৬-৩৭ পিলার দিয়ে এপারে চলে এসেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি আরও জানান রাখাইনে আরাকান আর্মি ও সেদেশের সরকারি বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে। এ ঘটনায় ভয়ে ও আতঙ্কে বাড়ি-ঘরে থাকতে পারিনা। সেখানে ঠিকমতো খাবার পাচ্ছিনা। সেখানে আর থাকতে না পেরে প্রাণ বাঁচাতে আমরা চাকমা সম্প্রদায়ের ১১ পরিবারে ৪৪ জন সদস্য আশ্রয় নেওয়ার জন্য বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছি।

এ বিষয়ে উখিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত ইউএনও যারীন তাসনিম বলেন, মিয়ানমার থেকে চাকমা ও বড়ুয়া পরিবারের কিছু সদস্য অনুপ্রবেশ করেছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মাশরুকী জানান, অনুপ্রবেশের তথ্য পাওয়া গেছে। এবিষয়ে আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি কোন সিমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করেছেন ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs