
সরওয়ার সাকিব:
কক্সবাজারে বহু বিতর্কিত শালিক রেস্টুরেন্ট এর মালিক নাসিরের বিরুদ্ধে যেন অভিযোগের শেষ নেই। একদিকে যেমন শালিক রেস্টুরেন্টে খাবারের দাম বাড়িয়ে গলাকাটা বানিজ্য করার অভিযোগ । অন্যদিকে এবার নতুন অভিযোগ এসেছে কর্মচারীদের অমানবিক নির্যাতনের।
অভিযোগে জানা যায়,শালিক রেস্টুরেন্টে ২১ জন অবাঙালি নারীকে নিয়োগ দেওয়া হয়। রেস্টুরেন্টের মালিকের শর্ত ছিল, কর্মচারীদেরকে তার তত্ত্বাবধানেই কক্সবাজারে থাকতে হবে। সেখানেই নারী কর্মীদের ওপর যৌন নিপীড়ন চালাতেন নাসির উদ্দীন বাচ্চু। নারী কর্মচারীদের পাহারা দিয়ে রাখা হতো যাতে তারা পালিয়ে যেতে না পারেন। এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নিতে গেলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী জানান, নাসিরের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে থানায় অভিযোগ দায়ের করি। পরবর্তীতে নাসিরে হুমকি আর ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলে আবার অভিযোগ তোলে নেয়।
সর্বশেষ গত কয়েকদিন আগে সাইদ বিন আব্দুল্লাহ নামে আরেক কর্মচারীকে শারীরিক নির্যাতন করার ঘটনা ঘটে। এর পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয় জানাজানি হলে একের পর এক মুখ খুলতে থাকে নির্যাতিতরা। এ বিষয়ে নির্যাতিত কর্মচারী সাইদ বিন আব্দুল্লাহ বলেন,সেলাই করা জুতো আনতে গিয়ে ৫ মিমিটের জায়গায় ১০ মিনিট হওয়ায় শরীরে বেধড়ক মারধর করে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় বেঁচে ফিরে।
এ ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন সংগঠন এবং এলাকাবাসীরা একের পর এক মানববন্ধন করে।
অবশেষে কক্সবাজারের পর্যটন এলাকা কলাতলীতে অবস্থিত শালিক রেস্টুরেন্টের মালিকের বিরুদ্ধে নারী কর্মচারীদের যৌন নিপীড়ন ও মারধরের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শালিক
রেস্টুরেন্টের একজন কর্মচারী বলেন, রেস্টুরেন্টের মালিক আত্মগোপনে আছেন।
অভিযোগের ব্যাপারে মন্তব্যের জন্য গত তিন দিনে অভিযুক্ত নাসির উদ্দিনের ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
স্থানীয়রা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান নাসিরকে দ্রুত গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনার।
এ জাতীয় আরো খবর..