স্টাফ রিপোর্টার,কক্সবাজার:
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের চেয়ারম্যান পাড়ার গ্রামের মিজানুর রহমানের ঘরের বারান্দায় অদক্ষ শিক্ষক-শিক্ষিকা দিয়ে চালাচ্ছে মেদাকচ্ছপিয়া উম্মে জামালীয়া ক্যাডেট নুরানী মাদ্রাসা নামক প্রতিষ্ঠান।যেখানে চলছে মনগড়া ফি আদায় নামের গলাকাটা বাণিজ্য। দেখার কেউ নেই!এমন অভিযোগ ভুক্তভোগী অভিভাবকদের।
সরেজমিনে গেলে দেখা যায়-খুটাখালীর ২ ও ৩নং ওয়ার্ডের মধ্যখানে চলাচল সড়কের লাগোয়া মিজানুর রহমানের ঘরের বারান্দায় ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠা করেন মেদাকচ্ছপিয়া উম্মে জামালীয়া ক্যাডেট নুরানী মাদ্রাসা নামের প্রতিষ্ঠান।ঘরের বারান্দার আট হাতের মধ্যে দুইটি ক্লাস। এভাবে চর্তুথ শ্রেণী পর্যন্ত ক্লাস রয়েছে।সরকারী নীতামালা বর্হিভুত ভাবে নিজেরা মনগড়া প্রতিষ্ঠান চালিয়ে যাচ্ছে।এই প্রতিষ্ঠানের ৫শত গজের ভিতরে রয়েছে কুতুবদিয়া পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মেদাকচ্ছপিয়া জলিলীয়া এবতেদায়ী মাদ্রাসা।পাশাপাশি সরকারী এই প্রতিষ্ঠানের আধা কিলোমিটারের ভিতরে রয়েছে ব্যাঙের ছাতার মত আরো ৪টি নুরানী ক্যাডেট মাদ্রাসা।যেখানে গলাকাটা বাণিজ্য চললেও তদারকি করার কেউ নেই।
নুছাইফা নামের এক শিশুর অভিভাবক জানান-তার শিশু মেয়েকে নার্সারীতে ভর্তি দিতে ফি নিল ৭০০টাকা আর মাসিক ফি আড়াইড় শত টাকা।ড্রেস বানাতে নিল ১৩শত টাকা।শিশুটির মা হাসপাতালে চিকিৎসাধিন থাকায় ২/৩ মাসের ফি বাকী ছিল।এমতাবস্থায় বার্ষিক পরীক্ষার ফি সহ বকেয়া দিতে একদিন দেরি হওয়াতে বকেয়া আদায় করে পরীক্ষা হল থেকে বের করে দিয়েছে মিজান।এভাবে আরো ৪/৫জন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা দিতে না দিয়ে শিশুদেরকে পড়ালেখার বিঘ্নতা ঘটিয়েছে।বিধায় আমরা সংশ্লিষ্ট প্রশাসন থেকে ন্যায় বিচার কামনা করছি।
এবিষয়ে চকরিয়া উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন-প্রতিটি এলাকাতে ব্যাঙের ছাতার মত নুরানী,ক্যাডেট মাদ্রাসা নামের প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।তারা সরকারী নীতিমালা না মেনে প্রতিষ্ঠান বানিয়ে,মনগড়া চলছে।কিন্তু ঘরের বারান্দায় প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে বাণিজ্য করা দন্ডণীয় অপরাধ।এবিষয়ে ইউএনও সহ জেলা প্রশাসনের নির্দেশ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।