শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
চকরিয়ায় সাংবাদিক শাহ আলমের উপর হামলা ও রাইচমিল লুটের ঘটনায় দুই মামলা আসামি হলেই গ্রেপ্তার নয়, মানতে হবে নতুন নির্দেশনা কক্সবাজারের সংকট-সম্ভাবনার কথা বলতে “আওয়াজ”র আত্মপ্রকাশ জুলাই ফাউন্ডেশনের অর্থ আত্মসাত, নাগরিক কমিটির নেত্রী বহিষ্কার। প্রবেশপত্র না পেয়ে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি উখিয়ার ১৩ শিক্ষার্থী, প্রধান শিক্ষক আটক ভারুয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগ নেতাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করার পাঁয়তারা কক্সবাজার সমুদ্রে যৌথ অভিযানে ৫০ হাজার ইয়াবাসহ সাত রোহিঙ্গা আটক পূর্বাচল প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি: হাসিনা ও পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ট্রাম্পের শুল্ক থেকে তিন মাস রেহাই পাবে বাংলাদেশসহ অনেকে, চীনের কাঁধে আরো বোঝা খুটাখালীতে অপহৃত যুবকের মোটরসাইকেল উদ্ধার

কুতুবদিয়া দশবছর খাসজমি একসনা বন্দোবস্ত বন্ধ,কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৫৬ বার পঠিত

মিজানুর রহমান,কুতুবদিয়া:

বঙ্গোপসাগরের মাঝখানে অবস্থিত কক্সবাজারের কুতুবদিয়া দ্বীপ। প্রায় পাঁচশত বছর আগে বসতি শুরু হয় এই দ্বীপে। তারাই ধারাবাহিকতায় পুরো কুতুবদিয়ার ভিতরে বাহিরে শতশত একর খাস জায়গা রয়েছে। আর এই জায়গা গুলো সরকার ভূমিহীনদের মাঝে একসনা বন্দোবস্ত দিলেও বর্তমানে বন্ধ রয়েছে খাসজমি একসনা বন্দোবস্ত।

কুতুবদিয়ায় দীর্ঘ দশ বছর যাবৎ নদ-নদীর চরভরাটি খাসজমি স্থানীয় ভূমিহীনদের মাঝে একসনা বন্দোবস্ত বন্ধ থাকায় সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পাশাপাশি বেদখল হচ্ছে নদ-নদীর চরভরাটি খাসজমি। এই সুযোগে স্থানীয়রা এ সকল চরভরাটি সরকারি খাসজমি দখল করে গড়ে তুলছে অবৈধ নানা স্থাপনা। আবার এসব নদ-নদীর চর দখল করে বিকিনিকির যেমন অভিযোগ রয়েছে তেমনি দখল পাল্টা-দখলকে কেন্দ্র করে দুটি পক্ষের মধ্যে অহরহ সংঘর্ষ ঘটছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সর্বশেষ একসনা লবণ লীজ বন্ধ আছে জেলা লবণ ব্যবস্থাপনা কমিটির ৬ষ্ঠ সভার কার্যবিবরণীর সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত (১৫/০১/২০১৩) তারিখে। মোট ইজারাকৃত জমি ১৬১.২৬ একর। এরপর থেকে অদ্যাবধি সরকারিভাবে একসনা বন্দোবস্ত প্রদান বন্ধ রয়েছে।

বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে সরকারি ভাবে ১৬১.২৬ একর খাসজমি দেখালেও পুরো কুতুবদিয়ায় প্রায় ৮০০-১০০০ একর খাসজমি রয়েছে। এগুলোর কোন হিসাবেই দেখাচ্ছে না কুতুবদিয়া ভূমি অফিস। বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে সরকার বঞ্চিত হয়েছে শুধুমাত্র একসনা বন্দোবস্ত প্রদান বন্ধ থাকার কারনে। একসনা বন্দোবস্ত প্রদান চালু না থাকায় এলাকার প্রভাবশালী ঘের মালিকরা অবৈধভাবে এসব নদ-নদীর চরভরাটি খাসজমি ফিল্ম স্টাইলে দখল নিচ্ছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, একসনা বন্দোবস্ত প্রদান সরকারিভাবে কুতুবদিয়া উপজেলায় বন্ধ থাকলেও চরভরাটি জমি খালি পড়ে নেই। সেখানে প্রভাবশালীরা দখল করে ধান-মাছ চাষ করছেন, আবার অনেকে কাঁচা-পাকা বিভিন্ন স্থাপনাও গড়ে তুলছেন। এ ব্যাপারে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে পরবর্তীতে তাদেরকে উচ্ছেদ করতেও অনেক বেগ পোহাতে হবে সরকারকে। স্থানীয় ভূমিহীন কৃষকদের মাঝে এ সকল খাসজমি একসনা বন্দোবস্ত প্রদান করা হলে সরকার যেমন প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় করতে পারবে, তেমনি বাস্তুহারা ভূমিহীন কৃষক পরিবারের মাঝেও সচ্ছলতা ফিরে আসবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সচেতন মহল।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs