জানা যায়,  মসজিদ ই বায়তুল্লাহ নির্মিত করতে ৬ গন্ডা জমি দানপত্র দেন। এরমধ্যে ১ গন্ডা জমিতে কবরস্থানের জন্য দেয়া হয়েছে। মসজিদটি নির্মাণে প্রায় ৯০ লাখের মধ্যে সৌদি আরবের শেখ আবু নায়েফ ৩০ লাখের বেশি অর্থ দান করেন। এছাড়াও এড. ফিরোজ আহমেদের মৃত্যুর পর ২ কানি ৫ গন্ডা জমি মসজিদটির ইমাম-মুয়াজ্জিনসহ বিভিন্ন আনুষাঙ্গিক খরচাপাতির জন্য দেয়া হয়। যাতে পরবর্তীতে কোন ধারণের সমস্যা সম্মুখীন হতে না হয় তার জন্য আইনি ভাবে কাগজপত্র মসজিদ কমিটিকে বুঝিয়ে দেন। এসব জমিতে বাৎসরিক লাগিয়ত পাবে দেড় লাখ টাকারও বেশি। পরবর্তীতে আরও ৫ গন্ডা জমিতে একটি হাফেজখানা ও নুরানি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা হবে। ইতোমধ্যে, এ কমপ্লেক্সের জন্য ২১ জন বিশিষ্ট উপদেষ্টা, ৩১ জন বিশিষ্ট পরিচালনা এবং ১০১ জন বিশিষ্ট মসজিদ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ প্রত্যন্ত অঞ্চলে দুশোরও বেশি পরিবার থাকলেও সড়ক ব্যবস্থাসহ মসজিদ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই।

এ প্রসঙ্গে এড. ফিরোজ আহমেদ বলেন, আজ আমার জন্য খুব খুশির দিন। কয়েক বছর আগে আমি চিন্তা করে ছিলাম একটা মসজিদ আমি কী করে করব। আমার ধারণাই ছিল না আমি পারব। আল্লাহর রহমতে এবং সবার দোয়ার কারণেই এই মসজিদ করতে পেরেছি। এটি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ ও তার মৃত মা-বাবার জন্য সদকায়ে জারিয়া সাওয়াবের উদ্দেশ্যে আল্লাহর নামে মসজিদের নামকরণ করা হয়েছে।

উদ্বোধনী উপলক্ষ্যে সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে উক্ত নবনির্মিত মসজিদের শুভ উদ্বোধন হয়। এতে মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক জাকের উল্লাহ, এড. সাইফুল্লাহ খালেক, ইউপি সদস্য নুর মোহাম্মদসহ শতাধিক মুসল্লী উপস্থিত ছিলেন।