মহেশখালী প্রতিনিধি:
মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়ার উত্তর নলবিলায় দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলা একটি চিংড়ী ঘের ও লবণ মাঠ দখল নিতে এনাম বাহিনীর এনামের নেতৃত্বে ৭-৮ জনের একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা তান্ডব চালিয়ে ২ লবণ চাষীকে মারধর, অস্ত্রের মহড়া চালিয়ে ফাঁকা গুলি বর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
১৫ ডিসেম্বর (রবিবার) দুপুরে উত্তর নলবিলার পশ্চিমে আনিসুর ইসলাম ছোটনের দখলে থাকা চিংড়ী ঘেরে এঘটনা ঘটে। এঘটনায় আহতেরা হলেন স্থানীয় আফজিলয়া পাড়ার লবণ চাষী রশিদ আহমদ ও মনিয়া। তারা অভিযোগ করে বলেন এনাম, আমির, এনামের ছেলে, গিয়াসউদ্দিন, মাসিক্কাসহ কয়েকজন আমাদেরকে মাঠে কাজ করার জন্য মারধর করে। আমরা চাষা মানুষ। লবন মাঠ বর্ঘা নিয়ে চাষ করি। আমরা এঘটনায় সুষ্ঠ বিচার চায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান- মহেশখালী থানার পুলিশের একটি টিম আনিসুল ইসলাম ছোটনের চিংড়ী প্রজেক্টের এসে চাষাদের দৌড়ানি দিয়ে চলে আসার সাথে সাথে চিংড়ী প্রজেক্টের উত্তর দিক থেকে এনামের নেতৃত্বে ৭-৮ জন চিংড়ী প্রজেক্টে অবস্থান নিয়ে লবণ চাষীদের তাড়িয়ে দেন। এর আধাঘন্টা পরে উক্ত চিংড়ী ঘেরে গুলি বর্ষনের আওয়াজ শুনি।পরে উত্তর দিক থেকে চিংড়ী প্রজেক্টে মানুষ গেলে এনামেরা উত্তর দিক দিয়ে চলে যায় বলে জানান।
ভুক্তভোগী আনিসুল ইসলাম ছোটন বলেন- আমাদের চিংড়ী প্রজেক্টে পুলিশ আসার পরপরই এনাম বাহিনীর প্রধান এনাম,জলদস্যু গিয়াস উদ্দিন, আমির,সহ কয়েকজন সন্ত্রাসী আমাদের চিংড়ী প্রজেক্ট দখল নিতে অবস্থান নেন। পুলিশ যাওয়ার পর তারা আমাদের চাষাদের লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করে। আমাদের দুজন লবণচাষীকে মারধর করেছে। আমরা বিষয়টি পুলিশ ও নৌবাহিনীকে অবগত করি। আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করি।
মহেশখালী থানার এসআই রাজিব চৌধুরী বলেন- উক্ত চিংড়ী প্রজেক্ট নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল।সেটি নিয়ে বিচার প্রক্রিয়াধীন থাকায় লবণ মাঠে কাউকে কাজ না করার জন্য নিষেধ করে আমরা চলে আসি। এঘটনার সুযোগ নিয়ে কেউ দখল নিতে চাইলে বা উক্ত চিংড়ী ঘেরে কেউ কাজ করে আইনশৃংখলা পরিস্থতি অবনতি করার চেষ্টা করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।