রিয়াজ উদ্দিন, কক্সবাজার:
গেল বছরে কক্সবাজার পাসপোর্ট অফিস ঘুসের হাট বাজার মনে হলেও দুদকের অভিযানের পর থেকে তেমন একটা ঘুস বানিজ্যের গন্ধ পাওয়া যায়নি। ২০২৩ সাল শেষের সাথে সাথে ঘুসের ও দেখা মিলে এই আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মচারীদের কাছে। আবেদনকারী কাছ থেকে অত্র শাখার কর্মচারীরা নগদ অর্থ হাতিয়ে নিলেও কাজের কোন দেখা নেই।
অভিযোগ আছে, গত ০৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার কক্সবাজার জেলার ঈদঁগাও উপজেলার ঘোনার পাড়া এলাকার ইব্রাহিম খলিল নামের এক যুবককে ০৭(সাত) দিনের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদানের কথা বলে মোবাইল ব্যাংকিং নগদের মাধ্যমে ১৫,০০০(পনেরো হাজার) টাকা এবং ক্যাশ ৩০,০০০(ত্রিশ হাজার) টাকা গ্রহণ করে কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মচারী কাদেমুল ইসলাম সাগর, যার প্রমাণস্বরূপ নগদ সফটওয়্যারের স্ত্রিনশট সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। উক্ত সময়ের পরে তার সাথে যোগযোগ করতে চাইলে মোবাইল বন্ধ করে রাখে নতুবা মোবাইলের ব্লক লিস্টে দিয়ে দেয়। অভিযুক্ত পাসপোর্ট অফিসের কর্মচারী কাদেমুল ইসলাম সাগরের সাথে যোগযোগের চেষ্টা করলে সে তার যোগাযোগ মাধ্যম সবগুলো বিচ্ছিন্ন করে রাখে। পরবর্তীতে অফিসে কয়েকবার গেলেও তার দেখা মেলেনি ভুক্তভোগী ইব্রাহিম খলিলের।
অভিযোগ আছে, কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মচারী-কর্মকর্তাদের যোগসাজশে অর্ধশত দালাল রোহিঙ্গা ও গ্রামের সহজ-সরল মানুষদের পাসপোর্ট বানানোর নামে প্রতিদিন হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এসব দালালরা অবৈধ পন্থায় পাসপোর্ট বানিয়ে দিয়ে গাড়ি, বাড়ি ও জমি কিনে বনে গেছেন কোটিপতি। অনুসন্ধানে এমন চিত্র উঠে এসেছে। স্থানীয় এক দালাল জানান, দালালদের মাধ্যমে পাসপোর্টের আবেদন করলে আবেদন ফরমে বিশেষ কিছু চিহ্ন থাকে যেমন-স্টার, টিক, ডি, এফ, ও। পাসপোর্টের আবেদনগুলোতে ‘বিশেষ চিহ্ন’ আছে কিনা যাচাই করে পাসপোর্ট অফিসের কর্মচারীরা। এরপর ওই চিহ্নের পাশে আরেকটি ‘চিহ্ন’ ব্যবহার করে তারা। মূলত এই বিশেষ চিহ্নের মাধ্যমে পাসপোর্টের কাজ শুরু করেন তারা।
ইতিপূর্বে অনুসন্ধানে অনেকবার অভিযোগ উঠে এসেছে যে, পরিচ্ছন্নতাকর্মী মো. খাদেমুল ইসলাম সাগর সপ্তাহের মধ্যে পাসপোর্ট সংগ্রহ করে দেওয়ার কথা বলে বহুল সংখ্যক সহজ-সরল মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিত। আবার সেই ঘুসের টাকা থেকে একটি অংশ অফিস সহকারী থেকে শুরু করে সহকারী পরিচালক পর্যন্ত যায় বলেও জানিয়েছেন একটি দালাল।চক্র।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে পরিচ্ছন্নতাকর্মী মো. খাদেমুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি। এই ঘুসগ্রহীতা পরিচ্ছন্নতাকর্মী মো. খাদেমুল ইসলাম সাগরের বিরূদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের বদনাম চারিদিকে ছড়িয়ে পড়বে। তাই মোঃ খাদেমুল ইসলাম সাগরের বিরূদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দাবি জানান ভুক্তভোগী ইব্রাহিম খলিল।