এম আর আয়াজ রবি, বিশেষ প্রতিবেদক:
কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে হাইওয়ে পুলিশের ধাওয়া খাওয়া কাভার্ডভ্যানের চাপায় মুফিজ নামের এক পথচারী নিহত হয়েছেন। ঘটনার প্রতিবাদে দেড় ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধ করেছেন স্থানীয় জনতা। এসময় কাভার্ডভ্যান ভাঙচুর চালিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়। উত্তেজিত স্থানীয়রা রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে ক্ক্সবাজার ও টেকনাফ থেকে আগত শত শত গাড়ির গতিপথ বন্ধ করে দেয়।
সোমবার ( ০২ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের রামুর মিঠাছড়ির ইউনিয়নের পানেরছড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাত ৮ টার দিকে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
নিহত মুফিজ প্রকাশ গোরামিয়া (৫৫) মিঠাছড়ি এলাকার মৃত আলী মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও রামু মিঠাছড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুস ভুট্টোর বরাতে জানা যায়, রামু ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশের একটি টহল দল একটি কাভার্ডভ্যান পুলিশের নির্দেশ অমান্য করে দ্রুত চলে আসলে, হাইওয়ে পুলিশ ঐ কাভার্ডভ্যানকে ধাওয়া করলে মিঠাছড়ি ইউনিয়নের পানেরছড়াভেলাকায় এসে ভিক্টিম মুফিজকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ঐ ব্যক্তি মারা যান। ঘটনার প্রতিবাদে কাভার্ডভ্যানটি ভাঙচুর করে সড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করে রাখেন। এসময় ঘটনাস্থলে পৌঁছে হাইওয়ে পুলিশের টহল দলটি। উত্তেজিত জনতা পুলিশকে হামলা করে ধাওয়া করলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পালিয়ে যান।
স্থানীয়রা বলেন, হাইওয়ে পুলিশের টহল দল সড়কে দাঁড়িয়ে যানবাহন থামিয়ে চাঁদা আদায় করে থাকে। এবারও তাই হয়েছে। পরে রামু থানার পুলিশের ওসি ও রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং সড়ক অবরোধ তুলে নেন।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের মো. দেওয়ান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। মরদেহ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে রামু ক্রসিং হাইওয়ে থানার ওসি মিজবাহ উদ্দিনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার অফিসিয়াল ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।