বিশেষ প্রতিবেদক:
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর নানাভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং আলোচিত কক্সবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর কমিটি ঘোষনা হবে চলতি মাসের যে কোন দিন। বিগত ২৮ শে জুলাই কক্সবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ বর্নাঢ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।কাউন্সিল অধিবেশনে সমঝোতা না হওয়ায় কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। এর আগে ২৮ জুন কক্সবাজার জেলা শাখা মেয়াদোর্তীন্ন হওয়ায় ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছিল। এরই মধ্য রহিম উদ্দিনকে আহবায়ক ও এড় একরামুল হুদাকে সদস্য সচিব করে সম্মেলন প্রস্তুতি আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করেছিল কেন্দীয় কমিটি।দীর্ঘ প্রায় এক যুগ পর কক্সবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আগামী নেতৃত্বে কারা আসছেন তা নিয়ে এখন জেলা জুড়ে আলোচনা চলছে । জানা যায় বিগত সম্মেলনে সভাপতি হিসেবে রহিম উদ্দিন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কায়সারুল হক জুয়েলকে নির্বাচিত করা হয়। সেসময়ে জোরেসোরেই রাজনৈতিক মাঠে কাজ করছিলেন বর্তমান কমিটি। তবে বারবার সম্মেলনে র তাগাদা স্বত্ত্বেও পিছিয়ে যাওয়া সম্মেলন কবে হবে তা নিশ্চিত না থাকায় বর্তমান কমিটি ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছিল । সকল অনিশ্চিয়তা কাটিয়ে গত ২৮জুলাই কক্সবাজার জেলা সম্মেলন অনুুষ্ঠিত হয়। সম্মেলন এর মাধ্যমে নেতা নির্বাচন এ সমঝোতা না হওয়ায় কেন্দ্রীয় ভাবে খুব শীঘ্রই নতুন নেতৃত্ব আসছে বলে জোর গুন্জন চলছে।২৮জুলাই জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।সে সম্মেলনে ১১ জন সভাপতি পদে এবং ২৩জন সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হন। সেই প্রেক্ষিতে কারা আসছে আগামী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটিতে তা জানা যাবে খুব শীগ্রই।তবে গুরুত্ব পাচ্ছে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশীদের বিষয়টি। তারা কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতাকর্মীদের মন জয় করতে নানা কৌশলে চালাচ্ছেন দৌড়ঝাপ।অনেকে ঢাকায় জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন। সব ছাপিয়ে এখন একটাই আলোচনা বিষয়: কারা হচ্ছে আগামী কক্সবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কান্ডারি।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, নতুন কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পদক পদে বেশ কয়েকজন সাবেক ছাত্র নেতা আলোচনায় আছেন। নতুন কমিটিতে সভাপতি পদে নাম শুনা যাচ্ছে সাবেক সফল সভাপতি ও পরিচ্ছন্ন নেতা মোঃরহিম উদ্দিন, সাবেক সাধারন সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ,বরেণ্য রাজনীতিবিদ একে এম মোজাম্মেল হক এর সন্তান কায়সারুল হক জুয়েল , সদর উপজেলা সভাপতি এড় একরামুল হুদা, শহর সভাপতি আবদুর রহমান, সাবেকযুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা এড় রিয়াজ উদ্দিন আহমদ , ও সাবেক প্রচার সম্পাদক জয়নাল আবেদীন ,সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রুস্তম আলী চৌধুরী ও ড.আশরাফুল ইসলাম সজিবের নাম।
সাধারণ সম্পাদক পদে নাম শুনা যাচ্ছে সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক নুর আল হেলাল ,সাবেক জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আলী আহমদ ;সাবেক জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ হোসাইন তানিম ,সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও শহর সা .সম্পাদক ওসমান সরওয়ার আলম , সাবেক সদস্য কাজী রাছেল আহমেদ নোবেল ও,ফাহাদ আলী ফাহাদ ,আবদুল হামিদ ফয়সাল এর নাম।
দলের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, কাঙ্খিত পদ পেতে পদপ্রত্যাশীসহ অনুগতরা এখন অনেকটা দ্বিধা-বিভক্ত। পদ প্রত্যাশীরা অনেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আশীর্বাদপুষ্ট বা আনুকূল্য লাভের জন্য ব্যস্ত। এই নিয়ে তারা নানা উপায় অবলম্বন করে চালাচ্ছেন লবিং। এই নিয়ে চালাচ্ছেন নির্ঘূম দৌড়ঝাঁপ! ইতোমধ্যে কয়েকজন পদপ্রত্যাশী ঢাকায় কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে যোগাযোগ রাখছেন। একই সাথে স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্তমান নেতারাও নানা স্তরের জেলার সাবেক সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ নেতাদের ব্যবহার করেও লবিং চালাচ্ছেন।
এদিকে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা চান, দীর্ঘদিন ধরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং দলের আর্দশকে ধারণ করে ও আওয়ামী পরিবারের শিক্ষিত এমন ত্যাগী নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হোক। যাতে তারা কক্সবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগকে একটি মডেল ইউনিট হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। তবে কোনো অশিক্ষিত, মাদক ব্যবসায়ী, মাদকাসক্ত, মামলার আসামি, চাঁদাবাজ ও দখলবাজসহ নানা অপরাধে জড়িতরা যেন কমিটির নেতৃত্বে না আসতে পারে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
শতভাগ গঠনতন্ত্র মেনে শিক্ষা, চরিত্র,আওয়ামী পরিবারের সন্তান দের মূল্যায়ন করেই যেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হয় সেদিকে খেয়াল রাখার দাবি অনেকের ।তাদের দাবি বিএনপি-জামায়াতপুষ্ট এবং গোষ্ঠীগত কাউকে মনোনয়ন দেয়া হবে না। একই সাথে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত, মাদকাসক্ত ও অর্ধশিক্ষিত এমন কারও নাম যাতে না আসে।’
সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সর্বশেষ দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। তবে পুর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয় ২০১৬সালে।
সদ্য বিদায়ী সভাপতি রহিম উদ্দিন জেলা আওয়ামীলীগ এর রাজনীতিতে আগ্রহী হওয়ায় তার পদপ্রাপ্তি নিশ্চিত নয়। এছাড়াও বিগত পৌরসভা নির্বাচনে সরাসরি নৌকার বিরুদ্ধে কাজ করায় আবদুর রহমান ,আলী আহমদ সহ অনেকের মুল পদে আসা দুরুহ হবে।কিন্তু সম্মেলনের পর নৌকার বিরুদ্ধে কাজ করেও কিভাবে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের আস্থা ভাজন হয় তা দেখে তৃণমূল নেতা কর্মীরা অনেকটা হতাশ। ত্যাগী ও তৃনমুলের কর্মীরা কেন্দ্রীয় নেতাদের দিকে প্রখর দৃষ্টি রাখছেন। তাদের দাবি দীর্ঘ দিন যারা সদ্য বিদায়ী কমিটি তে ছিলেন তাদের মধ্য থেকে ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের সমন্বয়ে যেন কমিটি নির্বাচিত করা হয়। তাদের দাবি অতীতের দু :সময়ে যারা দলকে অাকড়ে ধরেছিলেন নৌকার পক্ষে যাদের অবস্থান তাদের যেন মুল্যায়ন করা হয়।