সরওয়ার সাকিব
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল গতকাল (৩০ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার। গতকাল সকাল থেকে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহীন ইমরানের কাছে প্রার্থীরা নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে মনোনয়ন পত্র জমা দেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজারের ৪ টি আসনে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছিল মোট ৪৪ জন তার মধ্য মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন ৩৪ জন প্রার্থী।
এর মধ্যে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ১৩ জন। তার মধ্যে আওয়ামীলীগের সালাউদ্দিন আহমেদ সিআইপি, স্বতন্ত্র জাফর আলম, জাফর আলমের পুত্র তানভির আহমেদ সিদ্দিকী তুহিন, কল্যান পার্টির সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম, আব্দুল আউয়াল মামুন, জাতীয় পার্টি জেপির এ এইচ সালাউদ্দিন মাহমুদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহনেওয়াজ চৌধুরী স্বপনসহ আরো ৬ জন।
কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন আওয়ামীলীগের আশেক উল্লাহ রফিক, বিএনএমের শরীফ বাদশাহ,বিএসপির খাইরুল আমীন,এন পি পির মাহাবুবুল আলম, জাকের পার্টির মো: ইলিয়াছ সহ ৭ প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনে আওয়ামীলীগের সাইমুম সরওয়ার কমল, কল্যান পার্টির আব্দুল আউয়াল মামুন,জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ তারেকসহ ৬ প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে আওয়ামীলীগের শাহীন আকতার,জাতীয় পার্টির নুরুল আমিন সিকদার,স্বতন্ত্র সোহেল আহমেদ,তৃনমূল বিএনপির মুজিবুল হক মুজিব,ইসলামী ঐক্য জোটের ওসমান গনি চৌধুরী, মোহাম্মদ ইসহাক, এনপিপির ফরিদ আলম ও নুরুল বশর সহ ৮ জন।
উল্লেখ যে, কক্সবাজারে ৪টি আসনের বিপরীতে আওয়ামী লীগের এক এমপিসহ ৩ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছিল।
কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিল ১৩ জন। তারা হলেন– বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জেলা আ. লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমদ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, মহাসচিব আবদুল আউয়াল মামুন, জাতীয় পার্টির (জেপি) এএইচ সালাহ উদ্দিন মাহমুদ, ওয়াকার্স পাটির নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু মোহাম্মদ বশিরুল আলম, লিবারেল ইসলামিক জোটের প্রার্থী তৃণমূল বিএনপির চৌধুরী আফতার নুর, ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী মুহাম্মদ বেলাল উদ্দিন, জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী হোসনে আরা। এ ছাড়া, স্বতন্ত্র প্রাথী হিসেবে মনোয়নপত্র তুলেছেন চকরিয়া উপজেলা আ. লীগের সভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম, চকরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারমান ও আ. লীগ নেতা ফজলুল করিম সাঈদী, পেকুয়ার এএইচএম হেলাল উদ্দিন, চকরিয়ার শফিকুর রহমান, শাহনেওয়াজ চৌধুরী।
কক্সবাজার-২ আসনে নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিল ৫ জন। এরা হলেন- আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, এনএনএফ এর প্রার্থী মাহাবুবুল আলম, জাকের পার্টির প্রার্থী মোহাম্মদ ইলিয়াস, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু কাউছার এবং সরওয়ার আলম।
কক্সবাজার-৩ (সদর, রামু ও ঈদগাঁও) আসন থেকে জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ৯ জন মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছিল। এরা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, তৃণমূল বিএনপির মোহাম্মদ সানা উল্লাহ, জাতীয় পার্টি (জাপা) প্রার্থী মোহাম্মদ তারেক, বিএনএফ প্রার্থী মোহাম্মদ ইব্রাহিম, লিবারেল ইসলামিক জোটের প্রার্থী নুরুল আলম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আবদুল আউয়াল মামুন, স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়ন বঞ্চিত কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, আবদুল মজিদ, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির প্রার্থী শামীম আহসান। তবে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনোনয়ন সংগ্রহ করলেও জমা দেন নি। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হশে নির্বাচন না করার ঘোষণা দেন।
কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে ভোট করতে ৭ জন মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছিল। এরা হলেন– আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রাথী সংসদ সদস্য শাহিন আকতার। তিনি সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির স্ত্রী। আসনটি থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন-বঞ্চিত কক্সবাজার জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সোহেল আহমদ বাহাদুর, মোহাম্মদ ইসহাক, এনএনএফ প্রার্থী ফরিদ আলম, জাতীয় পার্টির প্রার্থী নুরুল আলম, বিএনএম এর প্রার্থী তাহা ইয়াহিয়া, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মুজিবুল হক মুজিব এবং জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী নুরুল আমিন সিকদার ভুট্টু।