কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার মাদক সম্রাট সজল কান্তি পালের বিরুদ্ধে মাদক বিকিকিনি ও আসর বসিয়ে এলাকার সামাজিক পরিবেশ বিঘ্নিত করার অভিযোগ উঠেছে। এতে এলাকার শিক্ষার্থী ও যুব সমাজ বিপথগামী হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় ঈদগাঁও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জানা যায়, উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের পাল পাড়া এলাকার সুকেন্দু পালের ছেলে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী সজল কান্তি পালের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক বিকিকিনির পাশাপাশি জমজমাট মাদকের আসর বসিয়ে এলাকার সামাজিক পরিবেশ বিঘ্নিত করে আসছে। এলাকার লোকজন প্রতিবাদ করতে গেলে এবং স্থানীয় থানা পুলিশ হানা দিলে স্থানীয়দের উপর ক্ষীপ্ত হয়ে কারাপ আচরণ সহ মারধর করে আসছে।
গত ৯ মে দুপুরে সজল কান্তি পালের মদের আসরে ঈদগাঁও থানা পুলিশ হানা দিয়ে পুলিশ চলে যাওয়ার পর সজল ক্ষীপ্ত হয়ে স্থানীয় লোকজন এবং পুলিশকে গালি গালাজ করে। এ সময় ঈদগাঁও উপজেলা আওয়ামীগ নেত অনুপম পাল প্রতিবাদ করলে তাকে কারাপ আচরণ করে এবং থানায় অভিযোগ করবে বলে হুমকি ধমকি দেয় সজল ।
এরই কয়েক দিন আগে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা মিলন কান্তি পাল এ সবের প্রতিবাদ করলে তাকে সজল কান্তি পালের নেতৃত্বে তার দলবল মদপান করে মারধর করে। এ ঘটনায় এলাকার বিচার বৈঠকে সজল কান্তি ও তার বাহিনী তিনশত টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প লিখিত আঙ্গীকার নামা দেয় এলাকায় মাদক বিক্রি করবে না বলে। এ বৈঠকে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ডাঃশামসুল হুদাসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এরই কয়েকদিন আগে মেডিসিন কোম্পানিতে কর্মরত স্থানীয় সুপন পালকে রাতে মদ পান করে গালি গালাজ ও মারধর করে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে মাদক সম্রাট সজল থানায় আঙ্গীকার নামা দেয়। এসবের পর ও প্রতিনিয়ত মাদক বিকিকিনি ও আসর বসিয়ে এলাকার সামাজিক পরিবেশ বিনষ্ট করে আসছে সজল। এলাকার শিক্ষার্থী ও যুব সমাজ কে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা অনুপম পাল,সুপন পাল,বীর মুক্তিযোদ্ধা মিলন কান্তি পাল ,সুমন পাল, পরিতোষ সহ অনেকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,এ মাদক সম্রাট এলাকার পরিবেশ বিঘ্নিত করে আসছে। প্রতিদিন মাদকের আসর বসিয়ে এবং এলাকার যুব সমাজ কে মাদক সরবরাহ করে দিয়ে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে এবং এলাকার সামাজিক পরিবেশ বিনষ্ট করছে। অভিযোগ উঠা সজল কান্তি পালের সাথে মাদক ব্যবসার বিষয়ে কথা হলে জানান, সবাই এ রকম বলে আসলে আমি একজন ব্যবসায়ী আমার কিছু প্রতিপক্ষ আছে এরা আমার বিরুদ্ধে এ সব করতে পারে। স্থানীয় ভাবে স্টাম্পে অঙ্গীকার নামা ও থানায় মোছলখার বিষয়ে জানতে চাইলে বলে আমার ছেলে একটা পুলিশে চাকরি করে। এ ব্যাপারে ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম কবিরের সাথে কথা হলে বিষয়টি দেখা হবে বলে জানান ।
এলাকাবাসী মাদক সম্রাট সজল কান্তি কে আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানান।