।। এম আর আয়াজ রবি।।
কক্সবাজার টেকনাফের হ্নীলা জাদিমুড়া এলাকাটা অপহরণের ঢেরা বলা হয়। গতকাল বন বিভাগের কাজ করতে গিয়ে ৩ বন কর্মীসহ অপহৃত ১৮ শ্রমিক উদ্ধার না হতেই ২৪ ঘন্টার মধ্যে ফের আরো ৭ জন অপহরণের শিকার হয়েছে।
এদের মধ্যে ১ জন সিএনজি ১ জন অটোরিকশা চালক এবং বাকিরা যাত্রী। তবে অপহৃতদের নাম ঠিকানা জানা যায়নি।
মঙ্গলবার (৩১-ডিসেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে। এনিয়ে ২ দিনে অপহরণ হয়েছেন মোট ২৫ জন।
স্থানীয়রা জানান, সকালে হোয়াইক্যং থেকে বাহার ছড়া শামলাপুর বাজারে যাওয়ার পথে পাহাড়ি ঢালে পৌঁছলে পাহাড়ি অপহরণ চক্রের সদস্যরা এসে তাদের নিয়ে যায়।
পরপর দুদিনে, ২৪ ঘন্টার মধ্যে ২৫ জন মানুষকে অপহরণের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণের মনে বিভিন্ন প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে। তাদের মতে, গতকাল ১৮ জন অপহরণের পর, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের মুখেও ফের ৭ জনের অপহরণের ঘটনাকে হালকাভাবে দেখার অবকাশ নেই। এটি জাদিমুরা এলাকাসহ টেকনাফের আইনশৃঙ্খলার অবনতির বর্হি প্রকাশ। তাই এলাকাবাসী, প্রশাসনের তীক্ষ্ণ নজরদারিসহ অপহৃতদের দ্রুত উদ্ধারে ত্বড়িত ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলেছেন। এদিকে অপহৃতদের আত্মীয়-স্বজন, পাড়া প্রতিবেশি এক অনিশ্চিয়তার মুখে কালাতিপাত করছেন।
টেকনাফের হ্নীলা এলাকার সিএনজি কমিটির সাধারণ সম্পাদক রফিক জানান, হোয়াইক্যং থেকে বাহার ছড়া যাওয়ার পথে ৭ জন অপহরণ হয়েছে। তার মধ্যে একজন সিএনজি ও ১ জন অটোরিকশা চালক রয়েছে। তাদের উদ্ধারে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
এদিকে অপহৃত সবাইকে উদ্ধারে বিভিন্ন টিম করে পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করছেন র্যাব-১৫ এর সিপিসি-১ টেকনাফ ও হোয়াইক্যং সিপিসি-২’র সদস্যরা, টেকনাফ থানা পুলিশ, বনবিভাগের শতাধিক কর্মী। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অভিযান চলমান রয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, ভিকটিমদের উদ্ধারে আমাদের পুলিশে একাধিক টিম পাহাড়সহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে।