শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
চকরিয়ায় সাংবাদিক শাহ আলমের উপর হামলা ও রাইচমিল লুটের ঘটনায় দুই মামলা আসামি হলেই গ্রেপ্তার নয়, মানতে হবে নতুন নির্দেশনা কক্সবাজারের সংকট-সম্ভাবনার কথা বলতে “আওয়াজ”র আত্মপ্রকাশ জুলাই ফাউন্ডেশনের অর্থ আত্মসাত, নাগরিক কমিটির নেত্রী বহিষ্কার। প্রবেশপত্র না পেয়ে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি উখিয়ার ১৩ শিক্ষার্থী, প্রধান শিক্ষক আটক ভারুয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগ নেতাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করার পাঁয়তারা কক্সবাজার সমুদ্রে যৌথ অভিযানে ৫০ হাজার ইয়াবাসহ সাত রোহিঙ্গা আটক পূর্বাচল প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি: হাসিনা ও পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ট্রাম্পের শুল্ক থেকে তিন মাস রেহাই পাবে বাংলাদেশসহ অনেকে, চীনের কাঁধে আরো বোঝা খুটাখালীতে অপহৃত যুবকের মোটরসাইকেল উদ্ধার

কক্সবাজারসহ সারাদেশে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের নকলনবিশদের চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে চলছে কর্মবিরতি,সেবা প্রার্থীদের দুর্ভোগ!

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১১৫ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক,কক্সবাজার:

সারা দেশে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মরত ১৬ হাজার ২৪৬ জন নকলনবিশের চাকরি স্থায়ী করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ এক্সট্রা-মোহরার অ্যাসোসিয়েশন। কক্সবাজার সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসসহ সারাদেশে সকল অফিসে চলছে কর্মবিরতি। এতে চরম দূর্ভোগে পড়েছে সেবা প্রার্থীরা,সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব।

তথ্যসূত্রে জানা যায়, বিগত ১৯৮৪ ইং থেকে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মরত নকলনবিশের চাকরি স্থায়ী করার দাবি করে আসছে। সরকার যায় আসে কিন্তু মিথ্যে আশ্বাসে ফাইল বন্দী হয়ে পড়ে রয়েছে যুগের পর যুগ।

ছাত্র জনতার গণআন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট সরকার পটপরিবর্তনের পর জোরালো হয়ে উঠে তাদের এই দাবি। গত ২১ অক্টোবর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে বাংলাদেশ এক্সট্রা-মোহরার অ্যাসোসিয়েশন পক্ষ থেকে নকলনবিশের চাকরি স্থায়ী দাবি জানিয়ে সারাদেশে দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি কর্মসূচি ঘোষণা হয়।

সংগঠনটির কক্সবাজার সদর সাব রেজিস্টি অফিসের কর্মরত নকলনবিশ ও জেলা শাখার সভাপতি নাসির উদ্দীন বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে মহান সংসদসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তি ও কর্মকর্তারা নকলনবিশদের চাকরি জাতীয়করণের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এরপর বহু সরকারের পালাবদল ঘটে। কিন্তু নকলনবিশদের খোঁজ কেউ রাখেনি।

তিনি আরো  বলেন, দেশের বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টের নকলনবিশ, মিডওয়াইফারি নার্সদেরকেও রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু আইন মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন অধিদফতরের নকলনবিশদের বিষয়টি আজও সংশ্লিষ্ট দফতর আমলে নেয়নি। নকলনবিশরা সরকারি কোনও বেতন-ভাতা পান না। সমাজের মানুষ জানে তারা সরকারি চাকরি করেন। কিন্তু বাস্তবে নকলনবিশরা জমির দলিলের এক পৃষ্ঠা বালামে লেখলে মাত্র ২৪ টাকা মজুরি পায়। প্রকৃতপক্ষে এক পৃষ্ঠা বালাম লেখার জন্য জনগণের কাছ থেকে সরকার রাজস্ব নেয় ৪০ টাকা। সেখান থেকে নকল নবীশদের দেয়া হচ্ছে ২৪ টাকা। বাকি ১৬ টাকা রাজস্ব খাতে জমা হচ্ছে। নকলনবিশদের টাকা দিয়েই তাদের চাকরি স্থায়ী করা সম্ভব। নকলনবিশদের দীর্ঘদিনের দাবি, চাকরি স্থায়ী করা হোক। কিন্তু সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলে বিষয়টি নিয়ে কথা বলার অভাবে আমরা আজও অন্ধকারেই রয়ে গেছি।

কক্সবাজার সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে সেবা প্রার্থীরা জানায়,দীর্ঘ একমাস পর্যন্ত দলিলের নকল সরবরাহ বন্ধ থাকায় চরম দূর্ভোগে পড়েছি। জমি রেজিস্টি করে দলিলের নকল না পাওয়ায় নিজের নামে নামজারি খতিয়ান করতে না পারা সহ বিভিন্ন মামলায় দলিলের নকল দিতে না পারায় নানান সমস্যায় পড়তে হচ্ছে,অন্যদিকে রাজস্ব  হারাচ্ছে সরকার। সরকারের উচিত নকল নবিশের দাবি যুক্তিসঙ্গত হয়ে থাকলে বিবেচনা করে দ্রুত সমাধান করা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs