রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ০২:০৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
জানারঘোনায় বন্যহাতির আক্রমণে আহত রিয়া মণির পাশে দাড়াঁলেন উপজেলা প্রশাসন। ডুলাহাজারা ইউনিয়ন বিএনপিতে ৪জন উপদেষ্টা সহ ১২জন বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি প্রকাশ আইন শৃংখলার চরম অবনতি: ঈদগাঁওয়ে ফের অস্ত্রের মুখে সেতুর মালামাল ও  তিনটি গরু লুট ঈদগাঁওতে অস্ত্র ঠেকিয়ে গরু লুট- আতংকে এলাকাবাসী চকরিয়ায় ডেভিল হান্ট অভিযানে ১৬ জন আ’লীগের নেতাকর্মী আটক সাগরে নিষেধাজ্ঞা শেষ;দ্বিতীয় কিস্তির চাল এখনো পাননি দ্বীপের জেলেরা চকরিয়ায় অজ্ঞাত গাড়ীর ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু সমুদ্রপথে মায়ানমারে পাচারকালে সার ও এনার্জি ড্রিংক জব্দ,আটক-৬ আনন্দ-উচ্ছ্বাসে সাংবাদিক সংসদ কক্সবাজার’র ঈদ পুনর্মিলনী সম্পন্ন সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজারের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন :সভাপতি নুরুল ইসলাম হেলালী,সাধারণ সম্পাদক এস এম জাফর

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ১২১ বার পঠিত

নাফনদী হয়ে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় হাজারো রোহিঙ্গা

হায়দার নেজাম:

মায়ানমারে গোলাগুলি ও সংঘর্ষ বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে যাতে রোহিঙ্গারা ঢুকতে না পারে, সে ব্যাপারে নাফনদীতে সর্বোচ্চ সতর্ক পাহারায় রয়েছে বিজিবি। টেকনাফের দমদমিয়ায় নাফনদী ও শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তে উন্নতমানের স্পীডবোট দিয়ে জালিয়ারদ্বীপসহ আশপাশের এলাকায় বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে। রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো: মহিউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, নাফনদী অতিক্রম করে মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি কোনো লোকজন যাতে সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। টেকনাফের সীমান্ত পয়েন্টে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মিয়ানমারে সামরিক জান্তা বাহিনীর সাথে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের গোলাগুলি ও সংঘর্ষের কারণে দেশটির রোহিঙ্গারা নাফনদী দিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে ঢোকার চেষ্টা করছে। তবে রোহিঙ্গাদের সম্ভাব্য অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি ও কোস্ট গার্ড।

টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপের মাঝি আবু বক্কর ছিদ্দিক বলেন, মিয়ানমারের সাগরের তীরে হাজার হাজার রোহিঙ্গার অবস্থান দেখা গেছে। কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫টি রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকা দেখা যায়। সেসব নৌকায় করে তারা এই পারে ঢোকার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু বিজিবি ও কোস্ট গার্ডের ভয়ে তারা অনুপ্রবেশ করতে পারছে না।

স্থানীয় জেলে কবির আহমেদ বলেন, রোহিঙ্গাদের এলাকায় আরাকান আর্মি ঢুকে পড়েছে। এতে সংঘর্ষ বেড়ে যাওয়ায় তাদের অন্য জায়গায় আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। তাই কয়েক হাজার রোহিঙ্গা প্রাণে বাঁচতে বিলে, সাগরের তীরে আশ্রয় নিয়েছে। তারা যেকোনো মুহূর্তে নাফনদী পেরিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করবে কি না জানি না। রাতের বেলায় তারা শাহপরীর দ্বীপসহ বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশ করতে পারে। তবে তাদের ঠেকিয়ে রাখছে বিজিবি ও কোস্ট গার্ড।

এদিকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে টেকনাফ সীমান্তের হ্নীলা, সাবরাং ও সেন্টমার্টিনের নাফনদীর বিপরীতে মিয়ানমার সীমান্তে। প্রতিদিনই এসব এলাকায় গোলাগুলি ও মর্টার শেলের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা।

মিয়ানমারের মংডুর সিকদার পাড়ার রোহিঙ্গা সেলিম বলেন, আমাদের তিনটি গ্রাম ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রাণে বাঁচতে বাড়িঘর ছেড়ে চরে আশ্রয় নিয়েছি। সাগরে বাংলাদেশের বাহিনী বেশি থাকায় সেখানে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে আমরা চেষ্টা করব সেখানে ঢোকার। না হলে বাঁচতে পারব না। তিনি আরও বলেন, হেলিকপ্টার থেকে বোমা মারছে। আমাদের কয়েকটি গ্রাম থেকে গোলাগুলি হচ্ছে। গ্রামগুলো হচ্ছে মংডু কাদিরবিল, নুরুল্যাহ পাড়া, বাগগুনা, নর বাইন্যা, থানাশো। এসব এলাকা থেকে রোহিঙ্গা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs