নিজস্ব প্রতিবেদক।
কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে চলমান বিজয় মেলাকে কেন্দ্র করে সব রাজনৈতিক দল ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মাঝে উত্তেজেনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। পূর্ব নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মেলা শেষ না করলে অপ্রীতিকর ঘটনার আশংকা প্রকাশ করেছে সর্বমহল।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসকে উপলক্ষ করে ঈদগাঁও উপজেলা প্রশাসন বিগত ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর দুই দিনের বিজয় মেলার আয়োজন করে।যা শেষ হওয়ার সময় সীমা হচ্ছে ১৬ ডিসেম্বর রাত ১০ টা। যা মেলা উদ্বোধন পরবর্তী বক্তব্যে ইউএনও বিমল চাকমা উল্লেখ করেন। তবে তার উপস্থিতিতেই জালালাবাদ চেয়ারম্যান আলমগীর তাজ জনি বক্তব্যে বলেন,উক্ত দুই দিন উপজেলা প্রশাসনের মেলা এবং চলতি মাসের অবশিষ্ট দিন গুলো জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে মেলা চলমান থাকবে। তার এ বক্তব্যের পরপরই উপস্থিত শ্রোতা ও দর্শনার্থীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তার এ বক্তব্য ও মেলার সময় বৃদ্ধির আবেদনের সংবাদে জনমনে তীব্র প্রতিক্রিয়া ছড়িয়ে পড়ে।
ইতিমধ্যে সোমবার দুপুরে ধর্মপ্রাণ একদল মুসলমান পূর্ব নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মেলা বন্ধ না করলে প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে বৈঠক করেছেন। যদি সময় বৃদ্ধি করা হয়, তবে যে কোন মুল্যে তা প্রতিহত করা হবে এবং এর জন্য উপজেলা প্রশাসন দায়ী হবেন বলে তারা হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন। রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত রাত পৌনে ১১ টা বাজেও মেলা অব্যাহত রয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপি আহবায়ক আবুল কালামের সাথে যোগাযোগ করা হলে জানান,তিনি এবং তার দলের এ মেলার সাথে কোন ভাবেই সম্পৃক্ততা নেই। সুতরাং মেলা নিয়ে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা হলে এর জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসন দায়ী থাকবেন।
উপজেলা জামায়েত আমীর মওলানা ছলিম উল্লাহ জিহাদী বলেন,বিজয় মেলায় তার দলের কোন সম্পৃক্ততা নেই। সুতরাং এ নিয়ে কোন নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া হলে তার জন্য প্রশাসন দায়ী থাকবেন ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিমল চাকমার কাছে পূর্ব নির্ধারিত সময় সোমবার রাত ১০ টার মধ্যে মেলা বন্ধ হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে, তিনি এত বিরক্ত করেন কেন প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মশিউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, মেলা বন্ধ করা,না করা ইউএনও'র দায়ীত্ব। প্রশাসনের কাজ হচ্ছে ইউএনও'র নির্দেশে নিরাপত্তা দেয়া।
উল্লেখ্য, মহান বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে মেলার আয়োজন নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিমল চাকমা ছোট বড় কোন রাজনৈতিক দল কিংবা গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মত বিনিময় করেননি।যদিওবা তাদের মেলা বাস্তবায়ন কমিটির বিভিন্ন উপকমিটিতে সদস্য হিসেবে রেখেছেন।যা তারা নিজেরাও জানেন না বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। মেলা উদ্বোধনের আগের দিন রাতে উপজেলা প্রশাসন থেকে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তাদের নিকট আমন্ত্রণ পত্র পাঠালেও কোন দলের প্রতিনিধি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেননি। এ নিয়ে এলাকা জুড়ে ইউএনও'র ভুমিকায় তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।নবাগত ইউএনও বিমল চাকমা যোগদানের পর থেকে একের পর এক তার বিতর্কিত ভুমিকা জনমনে চরম প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে।