মহেশখালী(কক্সবাজার)সংবাদদাতা ::
২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু হয় মাতারবাড়ি সংযোগ সড়কের সংস্কার কাজ। এরপর এলজিইডির গাফিলতি ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ধীরগতির কারণে কেটে গেছে আড়াই বছর। তবুও শেষ হয়নি উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের চালিয়াতলী চিতাখোলা রাস্তার মাথা হতে মাতারবাড়ি ইউনিয়নের রাজঘাট ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার সড়কের সংস্কার কাজ। কবে শেষ হবে তার নিশ্চয়তা দিতে পারছে না সংশ্লিষ্টরা।
জেলা প্রশাসন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও স্থানীয়দের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ মাতারবাড়ি সংযোগ সড়কে সংস্কারের কাজ শুরু হয়। ৬টি ব্রিজ, সড়কের দুপাশে গাইড ওয়াল নির্মাণ, মাটি ভরাটসহ রাস্তা সংস্কার কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৫ কোটি টাকা। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধায়নে কাজটি আসাদ এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বাস্তবায়ন করছে।
চালিয়াতলীর বাসিন্দা সিএনজি অটোরিকশাচালক শওকত আলম বলেন, চালিয়াতলী টু রাজঘাট সড়কে আমি সিএনজি চালাই। এই সড়কে এখন এত বেশি খানাখন্দ যে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করি। তিনি আরও বলেন, সড়কটি ভরাটের জন্য রাস্তার পাশ থেকে এক্সকাভেটর দিয়ে মাটি নিচ্ছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ফলে বর্ষা মৌসুমের জোয়ারের কারণে সড়কের গাইড ওয়াল ভেঙে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১১ নভেম্বর মাতারবাড়িতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনসভা উপলক্ষে তড়িঘড়ি সংস্কার করা হয়েছিল সড়কটি। কিন্তু সংস্কারের মাস না যেতেই সড়কে তৈরি হয়েছে অসংখ্য খানাখন্দ ও গর্ত। এদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে সড়কটির নাকাল অবস্থা। সড়কটিতে পানি জমে সুইমিংপুলে পরিনত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, টেন্ডার হওয়ার দীর্ঘদিন পর সড়কের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এরপরেও খুবই ধীরগতিতে কাজ করছে ঠিকাদাররা। বেশ কয়েকবার তাগাদা সত্ত্বেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কিংবা এলজিইডির টনক নড়েনি।
মাতারবাড়ির ইউপি চেয়ারম্যান আবু হায়দার বলেন, মাতারবাড়ি একমাত্র সংযোগ সড়কের সংস্কারের কাজ খুবই ধীরগতিতে চলছে। সড়কের অনেকাংশে খানাখন্দ ও গর্ত তৈরি হয়ছে। ফলে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে দ্বীপবাসীকে। বিষয়টি আমি চলতি সপ্তাহেও সংশ্লিষ্টদের অবহিত করেছি।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আসাদ এন্টারপ্রাইজ-এর পরিচালক মো. আসাদ উল্লাহ বলেন, দুটি কারণে এই সড়ক সংস্কারে এত সময় লাগছে। এই সড়ক দেশের অন্যান্য সড়কের মতো নয়। এখানে নিয়মিত জোয়ারের পানি আসে। তাই জোয়ার ভাটা দেখেই কাজ করতে হয়। জনরোষ থেকে বাঁচতে কাজ বন্ধ রাখতে হয়।