বিশেষ প্রতিবেদক :
টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের খারাংখালী সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে একটি বড় ধরনের ইয়াবার চালান খালাস এবং ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এরই সূত্রধরে আইন-শৃংখলা বাহিনীর অভিযানে ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় পুরো এলাকা জুড়ে তুমুল হৈ চৈ চলছে ।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ১লা মে ভোররাতে হোয়াইক্যংয়ের খারাংখালী সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের মন্ডু জেলার আকিয়াব থানার নাগাকুরার কুয়ার বিলের নুরুল ইসলাম ও আইয়ুব আলী এবং কেয়ারী পাড়ার ছৈ থৈা মং প্রকাশ কেটি রাখাইনের প্রেরিত ৪লাখ ইয়াবার চালান হোয়াইক্যং কম্বনিয়া পাড়ার পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়ার মৃত মোহাম্মদ আলীর পুত্র শামসুল আলম, পূর্ব মহেশখালীয়াপাড়াস্থ নতুন পাড়ার জহির আহমদের পুত্র আব্দুর রহিম প্রকাশ মেজর সিন্ডিকেটের জন্য প্রেরণ করে। ভোর হওয়ায় এই মাদকের চালানের কিছু অংশ প্রায় ৭০-৮০ হাজার ইয়াবা নাছর পাড়ার কয়েকজন লোক ছিনিয়ে নেয়। ছিনতাইকৃত ইয়াবার চালান উদ্ধার করতে হৈ চৈ শুরু হলে এই খবর আইন-শৃংখলা বাহিনীর কানে পৌঁছে যায়। তখন আইন-শৃংখলা রক্ষায় নিয়োজিত বিশেষ বাহিনীর অভিযানে ইয়াবা জব্দের ঘটনায় এই ঘটনার সত্যতা বেরিয়ে আসে।
এছাড়া পূর্ব মহেশখালীয়া পাড়ার শাহাব মিয়ার ছেলে হারুন, মোজাহার মিয়ার পুত্র মীর কাশেম, মোহাম্মদ আলীর পুত্র শামসুল আলম, লালুর ছেলে হারুন, নয়াবাজার পূর্ব পাড়ার সোনা আলীর পুত্র নুরুল আলম, এজাহার মিয়ার পুত্র সাদেক হোসেন ও ইউনুছ গ্যাং মিলে প্রায় ৭০/৮০হাজার ইয়াবার চালান লুট করেছে বলে গুরুতর অভিযোগ ওঠেছে ।
এই ব্যাপারে আব্দুর রহিম প্রকাশ মেজর বলেন, এই বিষয়ে আমি কোন কিছুই জানিনা। আমি এই ধরনের কাজে জড়িত না।
এই বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর টেকনাফ জোনের সহকারী পরিচালক সিরাজুল মোস্তফা বলেন,অবশ্যই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। টেকনাফ মডেল থানার ওসি হাফিজুর রহমান জানান,সঠিক তথ্য পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।