জিয়াউল হক জিয়া
কক্সবাজারের চকরিয়ায় যাত্রীবাহি হানিফ বাসের সাথে ডাম্পার গাড়ীর মুখোমুখি সংঘর্ষে কমবেশী ২২জন লোক আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের উপজেলার মালুমঘাট দরগাহ গেটের সামনে মর্মান্তিক এ র্দুঘটনা ঘটেছে।
আহতরা হলেন,চট্টগ্রামের বাশঁখালীর জলদী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের হাজী আব্দুর রহমানের পুত্র মাওলানা জামাল উদ্দিন,চকরিয়া পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের মৃত মোজাম্মেল হোসেনের পুত্র শামসুল আলম,রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউপির ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত সিরাজুল হকের পুত্র নুরুল ইসলাম,টেকনাফ উপজেলার কুতুপালং এলাকার মকতুল হোসেনের পুত্র ছৈয়দ আলম, লোহাগাড়া উপজেলার পুড়িবিলা ইউপির ৮নং ওয়ার্ডের সিকদার পাড়ার আহমদ হোসেনের পুত্র মোঃ ইমরান ও তার ভাগিনা মোঃ জায়েদ।চিকিৎসাধিন থাকায় তাৎক্ষণিক প্রত্যেকের নাম সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।তবে আহতদের মধ্যে দুই গাড়ীর চালক সহ দুই পুরুষ ও এক মহিলা যাত্রী অবস্থা গুরুত্বর বলে জানিয়েছেন কর্তব্য চিকিৎসক। স্হানীয়রা জানান,কক্সবাজারমূখি যাত্রীবাহি হানিফ বাসটি(যার গাড়ী নং-চট্রমেট্রো-ব-১১-১৬৮১) ঘটনাস্থলে পৌছলে,এমতাবস্থায় চকরিয়ামূখি খালি ডাম্পার (যার গাড়ী নং-চট্রমেট্রো-ট,১২-০১০৫) গাড়ী বেপরোয়া গতি আসায়,গাড়ী দুইটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।এসময় গাড়ী দুইটির সামনে অংশটুকু ধুমুড়ে-মুচড়ে যায়।পরে স্হানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে স্হানীয়দের সহযোগিতায় আহতদেরকে উদ্ধার করে মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রীষ্ট্রান হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।তবে মহাসড়কের মাঝে র্দুঘটনা হওয়ায় প্রায় ঘন্টখানিক সময় যানচলাচল বন্ধ ছিল।পরে পুলিশের কঠোর পরিশ্রমের ফলে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।এদিকে একটু হুশ জ্ঞান থাকা আহত জামাল বলেন,আমার সাথে হানিফ বাসের থাকা সব যাত্রী কমবেশী আহত হয়েছেন। এবিষয়ে মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর( ইনর্চাজ) শেফায়েত হোসেন বলেন,যাত্রীবাহি হানিফ বাসের সাথে ডাম্পার গাড়ী মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।খবর পেয়ে আমি সহ আমার একদল পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে স্হানীয়দের সহযোগিতায় আহতদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছি।এখনো পর্যন্ত কোন লোক মারা যায়নি।কমবেশী যাত্রী আহত হয়েছে।তবে র্দুঘটনার কারণে খানিক্ষণ যানচলাচলের বিঘ্নতা ঘটেছে।এছাড়া র্দুঘটনা কবলিত গাড়ী দুইটি জব্দ করা হয়েছে।