স্টাফ রিপোর্টার,কক্সবাজারঃ
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালীতে ঘরে বিরালির সাথে উড়না লাগিয়ে গলায় পেঁচিয়ে জন্নাতুল ফেরদৌস (১৬) এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন।তবে ঘরে বিরালির মেয়েটির চেয়ে ৭/৮ ইঞ্চি উচুঁ বলেই হত্যা নাকি আত্মহত্যা খোলাসা করনি স্হানীয়রা।
রবিবার (১১ মে) সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ দরগাহ পাড়ায় এঘটনা ঘটেছে।
নিহত-জান্নাতুল ফেরদৌস (১৬) স্বামী-মুহাম্মদ আরাফাতুল ইসলাম স্ত্রী এবং ওই এলাকার প্রবাসী ফজল করিমের ছেলে। তবে নিহতের পিতার নাম-আবুল কালাম।তিনি ডুলাহাজারা ইউপির বৈরাগীরখিল এলাকার বাসিন্দা।
ঘটনার পরে স্হানীয়দের বরাত দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্হানীয় ওয়ার্ড মেম্বার নুরুল আজিম।
সারজিনা হাফসা নামের এক কিশোরী নিহতের বাড়ীতে পিয়াজের জন্য এসে গৃহবধূ জন্নাতুকে ঝুলন্ত দেখে চিৎকার করলে,প্রতিবেশীরা দৌঁড়ে আসেন।পরে বয়স্ক নুরুল হুদা মিস্ত্রী নামের লোকটি গলায় পেঁচানো উড়না কেটে নিচে নামিয়ে শুয়ে দেন।তারপর মাথায় পানি ঢালেন।তারপরে নিহতের শাশুড়ী রোজিনা আকতার এসে পুত্রবধুর হাতে শিরা ধরে বলেন,জন্নাতু মারা গেছে,তাকে ডাক্তারের ওখানে নিতে হবে না।সবই আল্লাহর মর্জি বলে জানান নুরুল হুদা।
শাশুড়ী রোজিনা আকতার জানান,জন্নাতুর সাথে আমার ছেলে আরাফাত সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল।আমার ছেলে বর্তমানে বিকেএসপির একজন নিয়মিত খেলোয়াড়।আমার ছেলে আমাকে অনুরোধ করেন,মা তুমি তোমার মেয়ের মত করে জন্নাতুকে তোমার সাথে রেখু।আমি বিকেএসপির নিয়ম মোতাবেক প্রাপ্ত বয়স হলে অনুষ্ঠান করে বিয়ে আয়োজন করবো।ততদিন সে তোমার সাথে থাকে।তাই আমিও ছেলের অনুরোধ রেখে মেয়েটারে রেখেছি।বাড়ীতে আমি আর আমার পুত্রবধু ছাড়া কেউ থাকে না।কেন জন্নাতু এমন কাজটা করলো জানি না।আমি শুনেছি জন্নাতুকে আগে একবার বিয়ে দিয়েছিল।তবে আমি কলপ করে বলতে পারবো আমি জন্নাতুকে কোন ধরণের শারীরিক আঘাত করেনি,করলে ময়না তদন্তের আঘাতের চিহ্ন বের হয়ে আসবে।
এদিকে নিহত জন্নাতুর মা হুমাইরা বেগম জানান,আমার মেয়েকে আরাফাত অন্য ঘর থেকে নিয়ে এসে বিবাহ করেছেন।বিবাহের ঘটনা যাতে ফাঁস না হয় সেভাবে থাকার অনুরোধও করেছিল।কারণ বিবাহের কথা বিকেএসপিতে জানাজানি হলে তাকে টিম থেকে বের দিবেন।সেই চিন্তা আর জের ধরে আমার মেয়েকে শাশুড়ী মেরে ফেলে ফাঁসির নাটক সাজিয়েছে।এটি আত্মহত্যা নয় হত্যা করা হয়েছে।আমরা খু্ই অসহায় পরিবার।আমরা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মেয়ের বিচার চাই ছেন।
চকরিয়া থানার এসআই সঞ্জীব বলেন,এই গৃহবধূ আত্মহত্যা করছে নাকি হত্যা করা হয়েছে তা ময়না তদন্তের পরে জানা যাবেন, এখন মন্তব্য করা যাচ্ছে না।