কাইছারুল ইসলাম, মহেশখালীঃ
সারা বিশ্ব আজ মহামারী করোনার কবলে । সুনশান নিরবতা পুরো পৃথিবী জুড়ে। কোটি কোটি মানুষ আক্রান্ত, লক্ষ লক্ষ মানুষ ইতিমধ্যে প্রাণ দিয়েছেন করোনার কবলে পড়ে। পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতে দ্বিতীয়বারের মতো আবারো শুরু হয়েছে কঠিন অবস্থা। পরিণত হয়েছে মৃত্যুপুরে। বৈশ্বিক এ মহামারীর কথা মাথায় রেখেই করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সরকার। সারাদেশের ন্যায় মহেশখালীতে ও ঢিলেঢালা লকডাউন পরিচালিত হওয়ায় মানছে না তেমন কেউ স্বাস্থ্যবিধি। মুখে মাস্ক বিহীন চলাফেরা করছে অনায়াসে। রাস্তাঘাটে মানুষের ভিড়। মহেশখালীর গোরকঘাটা বাজারস্থ মার্কেটগুলোত ও রাখাইন পাড়ার শপিংমলগুলোতে সরেজমিন গিয়ে দেখা মিলে দোকান গুলোতে উপচে পড়া ভিড়। জনসাধারণের অভায়ারণ্য সৃষ্টি হয়েছে মার্কেট গুলোর প্রত্যেক অলিগলিতে। মাতারবাড়ী নতুন বাজার এবং পুরান বাজারের অবস্থা আরো করুণ। ওখানে করোনা নাই বললে চলে।শপিং করতে আসছে হাজার হাজার মানুষ। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক শপিংমলে প্রবেশকালে অবশ্যই শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করতে হবে। বড় বড় দোকানের ক্ষেত্রে ক্রেতার অবস্থান গোল চিহ্ন দিয়ে নির্দিষ্ট করে রাখতে হবে। যেসব নির্দেশনা থাকলে ও কার্যকর হচ্ছেনা কোথাও। অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক নেই,মানছে না স্বাস্থ্যবিধি।
শপিং করতে আসা মধ্যবয়স্কা ফিরোজা আকতার কে এমন কঠিন পরিস্থিতিতেও কেন শপিং করতে এসেছেন জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, সামনে ঈদকে কেন্দ্র করে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যেতে পারে আশঙ্কায় তিনি শপিং করতে এসেছেন। অপর একজন কুলসুমা খাতুন জানান, বাড়িতে স্কুলপড়ুয়া দুজন মেয়ে আছে। বারবার লকডাউন এর কারণে মার্কেট বন্ধ থাকায় তাদের এতদিন কিছু কিনে দিতে পারেননি। বর্তমানে মার্কেট খোলায় তাদের খুশি ও বিরক্তির কারণেই মার্কেটে এসেছি। মহেশখালী পৌরসভা প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত গোরকঘাটা কাঁচা বাজার ও মাছ বাজারে অবস্থাও একই হাল। কারো কারো মুখে উল্টাপাল্টা মাস্ক থাকলেও বেশি সংখ্যক লোকেরই মাক্স নেই। বাজার করতে আসা লোকজন এমন ভাবে চলাফেরা করছেন যেন পৃথিবী তার আগের পরিস্থিতি ফিরে পেয়েছে। করোনা মহামারী প্রাদুর্ভাব যেন চিরতরে চলে গেছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে গা-ঘেঁষা করে বাজার করছেন। স্থানীয় ডাক্তার মোহাম্মদ শফিক বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাব কে মাথায় না রেখে এমন বেপরোয়াভাবে চলাফেরা করলে স্বাভাবিক জীবনকে আরও করবে দুর্বিষহ। সামাজিক দূরত্ব বিহীন চলাফেরা, মাক্স ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া, স্বাস্থ্যবিধি না মানায় মহেশখালীতে অদূর ভবিষ্যতে বাড়তে পারে করোনা রোগীর সংখ্যা।