বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ০৭:১০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
পেকুয়ায় পুকুরে ডুবে শিশুর সায়েদের মৃত্যু চকরিয়ায় মটর চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎ তারে জড়িয়ে চোরের মৃত্যু চকরিয়ায় এলজিইডি”র সাড়ে ৮কোটি টাকার কাজে হরিলুট! পেকুয়ায় সড়ক সংস্কারে বনবিভাগের বাধাঃ প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ। হত্যা নাকি আত্মহত্যা খোলাসা করেনি স্হানীয়রা” খুটাখালীতে গলায় উড়না পেঁচিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা সাময়িক নিষিদ্ধ হচ্ছে আওয়ামীলীগের রাজনীতি জেলা ছাত্রলীগের প্রভাবশালী নেতা আরিফ গ্রেফতার পেকুয়ায় লবন চাষীকে কুপিয়ে জখম চকরিয়া জমজম হাসপাতালে উত্তেজনা: পালাক্রমে দুই পক্ষের পাহারা ও তালা ভেঙ্গে এমডি’র চেয়ার দখল! চকরিয়ায় সাবেক কাউন্সিলর,পৌর-ছাত্রলীগ নেতা ও ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা গ্রেফতার

স্বাধীনতা বিরোধীদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৩১ আগস্ট, ২০২১
  • ২৩০ বার পঠিত

রূপালী ডেস্ক।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী বিদেশি শক্তির মদদে স্বাধীনতা বিরোধীদের চক্রান্ত এখনও অব্যাহত আছে। তিনি এ ব্যাপারে জাতিকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শোকের মাস আগস্টের শেষ দিনে আজ মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর খামারবাড়ির বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে (কেআইবি) অনুষ্ঠিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নেন। এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখনও যুদ্ধাপরাধী, পরাজিত শক্তি এবং ১৫ আগস্টের খুনি—যাদের ফাঁসি হয়েছে, তাদের ছেলে-পেলে, যুদ্ধাপরাধীদের দোসর এবং বংশধর, তারা কিন্তু বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। যে আন্তর্জাতিক শক্তি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতা করেছিল, তাদের কিছু কিছু এদের মদদ দিয়ে থাকে। কাজেই এ ব্যাপারে জাতিকে সতর্ক থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই বাংলাদেশে ১৫ আগস্টের যে হত্যাকাণ্ড ঘটে গেছে এবং এরপর ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা, আমার জীবনের ওপর বহুবার হামলা, ’৭৪ সালে কামালের (শেখ কামাল) ওপর হামলা, তাঁকেও গুলি করে হত্যার চেষ্টা হলো। যখন দেখল, সে বেঁচে গেছে, তাঁর নামে মিথ্যা অপবাদ ছড়ানো হলো। অর্থাৎ পরাজিত শক্তি সবসময়ই এক্ষেত্রে সক্রিয় ছিল। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব এবং ১৫ আগস্টের শহিদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান। ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের সভাপতিত্বে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের বাৎসরিক প্রকাশনা ‘জন্মভূমি’ এবং ‘জয় বাংলা’ ম্যাগাজিনের (দ্বিতীয় সংস্করণ) মোড়ক উন্মোচন করেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে ছাত্রদের ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজ বাংলাদেশের প্রতিটি অর্জন সেই মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন বা যে কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সবসময় ছাত্ররাই করেছে। তারাই সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে। জাতির পিতার অমোঘ বাণী ‘বাংলাদেশের ইতিহাস ছাত্রলীগের ইতিহাস’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা তা সবাইকে মনে রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এ ধরনের বাধাবিঘ্ন আসতেই থাকবে। কিন্তু সৎ পথে থাকলে এবং সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য এবং আদর্শ নিয়ে যদি চলা যায়, তাহলে যে কোনো কঠিন পথ পাড়ি দিয়েও অবশ্যই সাফল্য অর্জন করা যায়। তবে, এটাও ঠিক সত্যের পথ সবসময় কঠিন হয়। আর সেই কঠিন পথকে যারা ভালবেসে গ্রহণ করে এগিয়ে যেতে পারে, তারাই সাফল্য আনতে পারে। শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘জাতির পিতার নামটা মুছে ফেলতে চাইলেও আজ ৭ মার্চের ভাষণ আন্তর্জাতিক প্রামাণ্য দলিলে স্থান পেয়েছে। তেমনি বঙ্গবন্ধুর নামও সারা বিশ্ব জানে। আর কারও পক্ষে এটা মুছে ফেলা সম্ভব নয়। সেটা সম্ভব হয়েছে কারণ, আমরা তাঁর (জাতির পিতার) আদর্শ নিয়ে চলেছি, লক্ষ্য স্থির করে চলেছি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোর রাতে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী সদস্য ধানমণ্ডির বাসভবনে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি এবং ইতিহাসের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকদের হাতে একে একে প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব, তাঁদের তিন সন্তান এবং দুই পুত্রবধু, বঙ্গবন্ধুর অনুজ ও ভগ্নিপতি এবং সামরিক সচিব কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৮ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs