এম আর আয়াজ রবি:
উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বীটের হরিণমারায় অবৈধভাবে পাহাড় থেকে বালি উত্তোলনে নিয়োজিত ড্রেজার মেশিন জব্ধ করেছে উখিয়া রেঞ্জ এর অফিসার ও স্টাফরা।
শনিবার ( ১৩-জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে উখিয়া সদর রাজাপালং ইউনিয়নের অন্তগত, হরিণমারা লালুর বরো ঘাটা নামক এলাকায় ড্রেজার মেশিনে অবৈধভাবে বালি তোলার কাজে নিয়োজিত একটি চক্র। এটি হচ্ছে বহুল আলোচিত উখিয়া বনরেঞ্জের অন্তর্গত দোছড়ি বিট কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামান সাজ্জাদকে যেখানে নির্মমভাবে ডাম্পারের চাকায় পিষ্ট করার সেই স্মৃতি বিজড়িত স্থান।
এখানে উল্লেখ্য যে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উখিয়া ও সহকারী কমিশনার ( ভূমি), উখিয়ার কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই খাল থেকে ইজারার নাম দিয়ে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছিলো চক্রটি।
সাবেক দোছড়ি বিট কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামান যে স্হানে নিহত হয়েছিলেন সে স্হানের পার্শ্ব থেকেই বিট অফিসার ইমদাদুল হাসান,বিট অফিসার আরাফাত মাহমুদ ও সংগীয় স্টাফ সিপিজি সদস্যদেরকে সাথে নিয়ে অবৈধ ড্রেজার মেশিন আটক ও জব্দ করে উখিয়া রেঞ্জ অফিসের সরকারী হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে ।
এখানে উল্লেখ্য যে, উখিয়া বনরেঞ্জের অন্তর্গত দোছড়ি বিট কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামান সাজ্জাদ অবৈধভাবে পাহাড় কাটায় বাধা প্রদান করায় ডাম্পারে পিষ্ট করে হত্যা করা হয়েছিল গত ৩০ মার্চ, ২০২৪ ( রোববার) ভোর সাড়ে তিন ঘটিকার সময়।
সাজ্জাদ হত্যার রক্ত শুকাতে না শুকাতে আবারো পাহাড় খেকোচক্র সেই একই এলাকায় অবৈধভাবে পাহাড় কেটে বালি উত্তোলনের সময় উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলমের নেতৃত্বে, দোছড়ি বীট কর্মকর্তা রনির তত্ত্বাবধানে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনে নিয়োজিত ড্রেজার মেশিন জব্ধ করে নিয়ে যায়।
উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম এ প্রসঙ্গে অত্র প্রতিবেদককে জানান, “উখিয়া দোছড়ি বীট কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামান সাজ্জাদ রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নির্মমভাবে ডাম্পারের চাকায় পিষ্ট করে খুন করা হয়। তিনি নিজের জীবনের বিনিময়ে দেশের স্বার্থ রক্ষায় ইতিহাস গড়ে গেছেন। সেই একই স্থানে পাহাড় খেকোচক্র আবারো অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিনের সাহায্যে বালি উত্তোলন করতে গেলে বনবিভাগের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও অন্যান্যরা সেই ড্রেজার মেশিন জব্ধ করে নিয়ে আসে। এ বিষয়ে জড়িতদের নাম পাওয়া গিয়েছে বিজ্ঞ আদালতে POR মোকদ্দমা প্রেরন করা হবে ও এ বিষয়ে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”