রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:১৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
রেকর্ড বৃষ্টিতে কক্সবাজার প্লাবিত, পাহাড় ধ্বসে উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও কক্সবাজার সদরে ৬ জনের মৃত্যু সাধারণ মানুষকে পুলিশ হয়রানি করলে আমি তাকে হয়রানি করবো- কক্সবাজারের নবাগত পুলিশ সুপার উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক শিশু ছাত্রের শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক মাদ্রাসা শিক্ষক আটক কুতুবদিয়ায় এক ডাকাত আটক চকরিয়া উপজেলার প্রশাসনের জায়গা দখলে নিল আদালত ভবনের কর্মচারী ও আইনজীবিরাঃহেনস্তা হলো সাংবাদিক রোদ-বৃষ্টি আধার রাতে;আমরা আছি রাজপথে-চকরিয়াতে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক-হাসনাত আব্দুল্লাহ অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় স্বর্ণপদকসহ চার সাংবাদিককে সম্মাননা দিবে “বনেক” কক্সবাজারে “কনসাল্টেটিভ মিটিং উইথ স্টেকহোল্ডারস টু এনশিউর ইকোনমিক ইন্টিগ্রেশন ফর দি হিউম্যান ট্র্যাফিকিং সারভাইভারস” শীর্ষক সভা অনুষ্ঠিত সেভ দ্যা হিউমিনিটি কক্সবাজারের দ্বিবার্ষিক সম্মেলন ২০২৪ সম্পন্ন আজীবন অবাঞ্ছিত ঘোষণা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি, সম্পাদক সহ তিন চিকিৎসক।

সাগরে তিন ধাপে বোট ডাকাতি ও লুটপাট

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪
  • ১৮৬ বার পঠিত

স্টাফ রিপোর্টার,কক্সবাজার:
কক্সবাজার সাগরের সোনাদিয়া, কুতুবদিয়া চ্যানেল ও মেধের খালে তিন ধাপে বোট ডাকাতির অভিযোগ উঠেছে। এতে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকার মত জাল, মাছ ও লবন ভর্তি বোটের মালামাল লুটপাট করা হয়েছে।
গত ১৯ মার্চ সোনাদিয়া চ্যানেল, ২৬ মার্চ কুতুবদিয়া চ্যানেল ও ৭ মার্চ খুটাখালী মেধের খালে রাতের আঁধারে জলদস্যুদের হাতে ডাকাতির শিকার হন।

ডাকাতির সত্যতা স্বীকার করে চট্টগ্রামের বাশঁখালী উপজেলার চাম্বল ইউপির বাংলা বাজারস্থ ৭নং ওয়ার্ডের শীলকুপ এলাকার বহদ্দার বা কোম্পানী ছৈয়দ নুর জানান, গত ১৯ মার্চ কক্সবাজারের সোনাদিয়া চ্যানেলে আমার ফিশিং বোট নিয়ে মাঝি-মাল্লারা মাছ ধরতে যায়। সাথে আক্তার কোম্পনী, আবদু করিম কোম্পনীর বোট একই রাতে, একই চ্যানেলে পৃথক সময়ে জলদস্যুদের হাতে ডাকাতির স্বীকার হয়। ডাকাতিকালে জলদস্যুরা মাঝি-মাল্লাকে মারধর করে আহত করে। পরে তারা জাল, মাছ নিয়ে যায়। এতে প্রায় ২১/২২ লক্ষ টাকার মত মালামাল নিয়ে যায়। পরে মাঝি-মাল্লাদের সাথে কথা বলে জেনেছি, জলদস্যুদের মতে তারা কয়েকজন লোক চিনতে পেরেছে। সেই জলদস্যুরা হল, কুতুবদিয়ার লেমছীখালী এলাকার গুরা কালু ও মামুন, বাঁশখালীর পশ্চিম চাম্বলের আবদুর ছফুর, আবদুল আজিজ, এনামুল হক ও সাজ্জাদুল হক। এছাড়াও গুরা কালু বর্তমানে চকরিয়ার হারবাং এর লাল ব্রিজের পূর্ব পাশে পাহাড়ী অঞ্চলে কোন এক মহল্লায় থাকে। তার খোঁজ নিতে ঐ উপজেলার ভোক্তভোগী এক ভাইয়ের সাথে কথা বলেছি।

ভোক্তভোগী বহদ্দার হেফাজ উদ্দিন জানান, গত ২৬ মার্চ রাতে কুতুবদিয়া চ্যানেলে আমার ও আমার চাচাতো ভাই শাহ আলমগীরের ফিশিং বোট ডাকাতি করে জলদস্যুরা। পরে মাঝি-মাল্লারা সাথে যোগাযোগ করে জানতে পারি, জলদস্যুরা আমার মাঝি-মাল্লাকে বেদড়ক মারধর করে, নাছির উদ্দিন নামের একজনকে বোট থেকে ফেলে দেয়। পরে তারা জাল, মাছ লুটপাট করে নিয়ে যায়। ২৭ মার্চ বিকেলের দিকে নিখোঁজ নাছিরকে জীবিত অবস্থায় পাওয়া গেলেও সে এখন চিকিৎসাধীন রয়েছে। এতে আমাদের ২ভাইয়ের প্রায় ১৩/১৪ লক্ষ টাকার মত মালামাল নিয়ে গেছে। বিষয়টি আমি কোষ্ট গার্ডের হেড অফিসে ফোনে অভিযোগ করি, পাশাপাশি লিখিত অভিযোগও করেছি। কেননা জলদস্যুদের মধ্যে কয়েকজনকে মাঝি-মাল্লারা চিনতে পেরেছে।

খুটাখালীর লবন ব্যবসায়ী আলম জানান, গত ৭ মার্চ রাতে লবন ভর্তি বোট যাওয়ার পথে মেধের খালের মধ্যে আটকিয়ে ডাকাতেরা মাঝি-মাল্লাকে মারধর করে। পরে ডাকাতেরা তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, খাবারের মালামাল ও ইঞ্জিন চালানো ড্রাম ভর্তি তেল সহ অন্যান্য মালামাল মিলে প্রায় ৭০ হাজার টাকার ক্ষতি করেছে।
কোষ্ট গার্ডের সোনাদিয়া চ্যানেলের নির্বাহী কর্মকর্তা লেঃ জুবায়ের আহমেদ এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে ফোন রিসিভ না হওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

চকরিয়া থানার ওসি তদন্ত অরুপ কুমার চৌধুরীকে ঘটনা জানালে তিনি বলেন, উপজেলাতে এধরণের কোন জলদস্যু বসবাস করলে বা লবন বোট ডাকাতির শিকার ভোক্তভোগীদেরকে থানায় অভিযোগ কিংবা মামলা দায়েরের পরামর্শ দেন। তাহলে দ্রæত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs