শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
উখিয়া ইনানী মেরিনড্রাইভে ইয়াবাসহ একযুবতীকে আটক করেছে বিজিবি মাতারবাড়ীতে আগুনে পুড়ে ছাই এক বিধবা নারীর স্বপ্ন আরাকান আর্মির হাতে আটককৃত ২০ বাংলাদেশী জেলেকে ফেরত আনলো বিজিবি  গ্যাস ও এলএনজি সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে কুতুবদিয়ায় ধরা’র নৌ- মানববন্ধন কুতুবদিয়ায় সাংবাদিককে মারধরের মামলায় অভিযুক্ত প্রকৃত আসামীদের নাম বাদ দিয়ে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়ার অভিযোগ তদন্ত কর্মকর্তা বিরুদ্ধে টেকনাফে ৫ কোটির টাকার ১ কেজি ক্রিস্টাল মেথ (আইস) জব্দ  জালালাবাদে রেমিট্যান্স যোদ্ধার বশত বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ  রেঞ্জ কর্মকর্তা রতন লাল বেপরোয়া, রয়েছে পাহাড় সমপরিমাণ অভিযোগ  নিসচার ইতিহাস বদলে ফেলার অভিযোগ,জেলা প্রশাসকের কাছে কক্সবাজার জেলা শাখার নেতৃবৃন্দের স্মারকলিপি প্রদান চকরিয়া থানা পুলিশের অভিযানে আটক-৮ চকরিয়া প্রতিনিধিঃ

সাংবাদিকরা ইস্যু তুলে ধরেন বলেই আমরা জানতে পারি: হাইকোর্ট

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ১৯৩ বার পঠিত

রূপালী ডেস্কঃ

সমাজে কী কী অসঙ্গতি হয় সেটা তুলে ধরাই হলো সাংবাদিকদের কাজ। তারা একটি ইস্যু তুলে ধরেন বলেই আমরা জানতে পারি বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের শুনানিকালে সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। আদালত বলেন, সমাজের কোনায় কোনায় কত ধরনের ন্যায়-অন্যায় হচ্ছে। পত্রিকায় সেটা তুলে ধরে বলে আমরা জানতে পারি। এরপর আদালত অননুমোদিত আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ক্ষুদ্র ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে তদন্ত করতে একটি বিশেষ কমিটি গঠনে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি নির্দেশনা দেন। একইসঙ্গে তদন্তকালীন সময়ে কোনও অননুমোদিত বা লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠান পাওয়া গেলে, তাৎক্ষণিক সেগুলো বন্ধ করে আইনি ব্যবস্থা নিতে বলেছেন আদালত। এছাড়াও চড়া সুদে ঋণদানকারী স্থানীয় মহাজনদের তালিকা দিতে মাইক্রো ক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে এসব বিষয়ে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলেছেন আদালত। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর এ রিট দায়ের করেন তিনি। রিট আবেদনে বলা হয়, দেশের প্রত্যেকটি এলাকায় ও প্রতিটি গ্রামে সমবায় সমিতির নামে সুদের ব্যবসা চলছে। আবার অনেকে ব্যক্তিগতভাবে ঋণ দেওয়ার নামে উচ্চহারে সুদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এসব ব্যবসায় কোনও নিবন্ধন নেই তাদের। সাধারণ মানুষ এসব সুদকারবারিদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। তাদের সাপ্তাহিক ও মাসিক ভিত্তিতে আদায় করা সুদের পরিমাণও আকাশ ছোঁয়া। ১০ হাজার টাকায় প্রতি সপ্তাহের সুদ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। কোনও কোনও ক্ষেত্রে এক হাজার টাকা, বা মাসে সুদ হিসেবে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করে তারা। রিট আবেদনে আরও বলা হয়, অনিবন্ধিতভাবে গজিয়ে ওঠা এসব সমবায় সমিতি ও সুদকারবারির কাছ থেকে ঋণ নিয়ে সুদের বোঝা টানতে টানতে অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। অনেক ক্ষেত্রে প্রশাসনের চোখের সামনে তারা সুদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাই সারাদেশের অনিবন্ধিত সুদের সব ধরনের ব্যবস্থা বন্ধে রিট আবেদনে আদালতের নির্দেশনা চাওয়া হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs