ফরিদুল আলম রনি।
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের আওতাধীন রাজারকুল রেঞ্জের পঞ্জেগানা দক্ষিণ ঘোনারপাড়ায় হক্কানী হুজুর নামের এক ব্যক্তি বনভূমিতে বহুতলা ভবন নির্মাণ করলেও সংশ্লিষ্ট বিভাগের কোন নজরদারী নেই।তার এত টাকার উৎস কোথায়?
এমনকি কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) এর অনুমোদন না নিয়ে অবৈধভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে ভবনটি।ভবনটি নিয়ে স্থানীয়দের মাঝেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। স্থানীয়দের মনে এখন একটি প্রশ্নই ‘সে এতো টাকা কোথায় পেয়েছে?
সূত্রে পাওয়া,তার দরবেশ খানায় নাকি নারী ছাড়া পুরুষ প্রবেশের অনুমিত নেই,এমনকি দরবেশ খানার স্পেশাল কক্ষে দুই নারী একসাথে প্রবেশ নিষেধ।
আশেক এলাহী নামের একজন পোষ্টে মন্তব্য করে লিখেন,সে বড় ফুক বাবা, তার কাছে অনেক রোগী যাওয়া আসা, আমার এলাকা থেকেও অনেক মানুষ চিকিৎসা নিয়েছে, একবার মাকেও পাঠিয়েছিলাম, মা তার ভন্ডামি দেখে আর যায় নাই, বিশাল টাকার খেলা, অল্প মেরে দিছে আর কি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী বলেন,আমি আর আমার শাশুড়ি একসাথে হক্কানী হুজুরের দরবেশ খানায় যায়,ঝাড়ফুঁক করার জন্য যখন তার স্পেশাল রুমে যেতে বলে তখন আমি আর শাশুড়ি একসাথে প্রবেশ করতে চাইলে শাশুড়িকে প্রবেশ করতে না দিয়ে আমাকে একা প্রবেশ করতে বলে,আমার কাছে বিষয়টা ভালো না লাগায় আমি চলে আসি।
আবার অনেকে বলাবলি করছে এগুলো ভণ্ডামি ছাড়া আর কিছু না,চিকিৎসার নামে মানুষকে ধোকা দিচ্ছি।
এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিট কর্মকর্তা জানান,আমরা সরেজমিনে গিয়েছি এবং তাদের কাছ থেকে জায়গার কাগজপত্র তলব করেছি। কাগজ সঠিক না হলে আইনগত ব্যবস্হা নেয়া হবে।