সরওয়ার সাকিবঃ
বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। সমুদ্র দেখতে কে না ভালোবাসে । সমুদ্রের বিশালতা মানুষকে সব সময় তার কাছে টানে । পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ এই সমুদ্রের পাশে সময় কাটাতে বেশ পছন্দ করে । ছুটি অথবা একটু অবসর পেলেই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসার শখ অনেকের রয়েছে। তবে সৈকতে রয়েছে প্রাকৃতিক কিছু মৃত্যুফাঁদ যা প্রতিনিয়ত কেড়ে নিচ্ছে সেখানে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকদের জীবন। সৈকতের অপরূপ প্রাকৃতিক রূপ এবং জলরাশির খেলা দেখতে দেশ বিদেশ থেকে অসংখ্য দর্শনার্থী এখানে বেড়াতে আসেন। বেড়াতে এসে অনেকেই সাগর জ্বলে নামার লোভ সামলাতে পারেন না। এছাড়াও সৈকতে প্রাকৃতিক ভাবে রয়েছে ভয়ংকর এক মৃত্যুকূপ যা একটু অসাবধানতায় কেড়ে নিবে তাজা প্রান। সাধারণত স্রোতের কারণে পানির চাপ খুব বেশি থাকে। এতে সুমুদ্রের স্রোত হঠাৎ মানুষকে নিচের দিকে টেনে নেয়। পানিতে নামতে নামতে ঠিক এক গজ সামনে নিয়ে গ্রাস করতে কি ঘূর্ণি খেলা হচ্ছে, নিজের অজান্তেই ঐ চোরা স্রোত টেনে নিবে সাগরের গভীরে। এসময় হাজার সাঁতার কেটে ভেসে থাকতে চাইলে পারা সম্ভব না। স্বাভাবিক ভাটার ফলে নিচের দিকে থেকেই গভীর সাগরের দিকে ধাবিত করে ডুবে যাওয়া মানুষকে। আমাদের দেশে সাগর তীরে পর্যটকদের এসব বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে ধারণা দেওয়া হলেও , সাবধানতা না মেনে পর্যটকরা আবেগে সাগরে নেমে পড়েন । ফলে বিপদে পড়লে সেখানে তেমন কোনও উদ্ধার ব্যবস্থা কিংবা নিরাপত্তা ব্যবস্থাও থাকেনা। এসব কারণেই প্রতিনিয়ত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে আমাদের দেশের অনেক তাজা প্রান। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে শর্তসাপেক্ষে ১৯ আগস্ট থেকে পর্যটন স্পটগুলো খোলার পর থেকে বিগত এক মাসে আনুমানিক ১৫ জনের প্রান হানি হয়েছে,আহত হয়েছে আনুমানিক ৬ জন। সর্বশেষ গত ২৪ ঘন্টায় ৪ পর্যটক সহ ৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে । সৈকতে দর্শনার্থীদের সচেতন করার লক্ষ্যে (১৭ সেপ্টেম্বর) শুক্রবার সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে এক সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনের আয়োজনের করেন জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ। স্থানীয় সচেতন মহল মনে করেন সরকারের তরফ থেকে যতই সচেতন করা হোক বা লাইফগার্ড কর্মীর যতই বৃদ্ধি করা হোক না কেন নিজে সচেতন বা সাবধান না হলে সমুদ্রের এই মৃত্যুর স্রোত থামানো সম্ভব না। কে চায় এমন মৃত্যু , সকলকে অবশ্যই সচেতন হতে হবে।